করোনা সংক্রমণের জেরে জন সমাগম এড়াতে সরকারের তরফে একাধিক বিধি নিষেধ জারি করা হয়েছে। বিয়ে থেকে শেষকৃত্য সবটাতেই জন সমাগমের ক্ষেত্রে বেঁধে দেওয়া হয়েছে নির্দিষ্ট সংখ্যা। কিন্তু রাজস্থানের ভিলওয়াড়ার একটি পরিবার সেই নিয়মের তোয়াক্কা না করেই বিবাহ অনুষ্ঠান করে বসে। এর জেরে ওই পরিবারকে এখন গুনতে হচ্ছে ছয় লক্ষ টাকারও বেশি জরিমানা। পাশাপাশি, ওই পরিবারের বিরুদ্ধে এফআইআর-ও করা হয়েছে বলে খবর। 

ভিলওয়াড়ার জেলাশাসকের দফতর সূত্রে জানা গেছে, ১৩ জুন ওই বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। ছেলের বিয়ে। আমন্ত্রিত ৫০ জন ব্যক্তির হাজির থাকার কথা বলে অনুষ্ঠানের অনুমতি নেন ঘাসুলাল রাঠি নামে এক ব্যক্তি। কিন্তু, অনুমতি ৫০জনের নিলেও ২৫০ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, আমন্ত্রিত কেউই মাস্ক পরেননি, স্যানিটাইজার ব্যবহার করেননি। সামাজিক দূরত্বের বিধিও মানেননি। এই অনুষ্ঠানের পরেই করোনা আক্রান্ত হন বর সহ ১৫ জন। তাঁদের মধ্যে একজনের মৃত্যুও হয়েছে বলে খবর। করোনা সন্দেহে কোয়ারেন্টিন সেন্টারে রাখা হয় ৫৮ জনকে। আক্রান্ত ১৫ জনকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।

নিয়ম লঙ্ঘন এবং অন্যদের জীবন বিপন্ন করে তোলার অভিযোগে ২২ই জুলাই ওই পরিবারের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়। গতকাল জেলাশাসক রাজেন্দ্র ভাট নির্দেশ দিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ৬,২৬,৬০০ টাকা জমা দিতে হবে। করোনা পরীক্ষা, চিকিৎসা, কোয়ারেন্টিন সেন্টার, আইসোলেশন ওয়ার্ড, খাবারের ব্যবস্থা, অ্যাম্বুল্যান্স এবং করোনা আক্রান্তদের যাতায়াতের জন্য ওই টাকা ব্যবহার করা হবে।

ভারতে করোনা সংক্রমণের শুরুতে ভিলওয়াড়ায় আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক ছিল। তবে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে সংক্রমণ রোধ করে। প্রশাসনের তৎপরতা এক সময়ে সারা দেশে ‘ভিলওয়াড়া মডেল’ নিয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু সেখানেই এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।