করোনা আতঙ্কে বিশ্ব স্তম্ভিত। এখনও আবিষ্কার হয়নি করোনার ড্রাগ, পাওয়া যায়নি ভ্যাকসিন। এমন পরিস্থিতিতে করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত হচ্ছে রেমডেসিভিরসহ বেশ কিছু ওষুধ। মৃদু উপসর্গ থাকা কোভিড-১৯ আক্রান্তদের চিকিত্সায় Favipiravir ওষুধ আনল গ্লেনমার্ক ফার্মাসিউটিক্যাল। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি করোনা সম্পূর্ণ নিরাময়ে নয়,বরং ভাইরাসের প্রভাব হ্রাস করতে সক্ষম। আগামী দিনে ব্যাপক ব্যবহারের পরই ওষুধের কার্যকারিতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। 

ফ্যাবিফ্লু-ই করোনাভাইরাসের চিকিত্সায় ভারতে প্রথম স্বীকৃত oral Favipiravir (ট্যাবলেট)। যার প্রতিটির মূল্য ১০৩ টাকা। ২০০ মিলিগ্রামের ৩৪টি ট্যাবলেটের মূল্য ৩৫০০ টাকা পড়বে বলে জানা গেছে। 

এটি একটি প্রেসক্রিপশন-ভিত্তিক ওষুধ, প্রস্তাবিত ডোজটি প্রথম দিনে প্রতিদিন দুইবার 1,800 মিলিগ্রাম হয়, এরপরে প্রতিদিন দু'বার 800 মিলিগ্রাম পর্যন্ত ১৪দিন বলে ওষুধ সংস্থাটি জানিয়েছে। 

শালিমারবাগের ফর্টিস হাসপাতালের অধিকর্তা চিকিত্সক বিকাশ মৌর্যের কথায়,''জাপানে ইনফ্লুয়েঞ্জায় এই ওষুধ কাজে দিয়েছিল। ব্যবহার করা হয়েছিল কোভিজ-১৯ রোগীদের ক্ষেত্রেও। চিনও ব্যবহার করেছে। গত মে মাসে অনুমোদন দিয়েছে রাশিয়া। অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ রেমডিসিভির ও ফ্যাভিপিরাভির কোভিড-১৯-এর ওষুধ নয়। এগুলো ইনফ্লুয়েঞ্জার চিকিত্সায় ব্যবহার করা হয়। তবে গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মৃদু উপসর্গ থাকা করোনাভাইরাস আক্রান্তদের উপরে Favipiravir কাজে দিয়েছে। সে কারণে ভারতেও এল।'' 

তবে করোনা চিকিত্সায় ফ্যাভিফ্লু ম্যাজিকের মতো কাজে দেবে বলে না বলেও মনে করিয়ে দিয়েছেন মৌর্য। তাঁর কথায়,''এটা ম্যাজিক ওষুধ নয়, যে খেলেই করোনা সেরে যাবে। কোভিড-১৯ আক্রান্তদের চিকিত্সায় কার্যকরী। তবে কতখানি কার্যকরী সেটা দেখতে হবে। ব্যাপকভাবে প্রয়োগের পরই সবটা স্পষ্ট হবে। সেটাই আসল পরীক্ষা।''