বাবা মায়ের খাবার যোগাতে শাক বিক্রিরত ছোট্ট 'শ্রাবন্তী'র পাশে বিজিটিএ


নিজস্ব প্রতিনিধিঃ-লকডাউনের বাজার,সবাই বাজার করতে ব্যাস্ত। গেট বাজারের এক কোনে গেঁয়ো শাকের পসরা সাজিয়ে বসে আছে একটি ৮-৯ বছরের ছোট্ট মেয়ে। কেউ খেয়ালই করেনি। কেউ কেউ করোনা প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে তার কাছ থেকে দুর্লভ অথচ উপকারী সেই শাক কিনেছেনও কখনো সখোনো,কিন্তু কেউ জানতে চাননি কেন এই বয়সে ব্যবসা-বেমানান এই ফুটফুটে বাচ্ছা মেয়েটিকে বিক্রেতা হতে হয়েছে। কিন্তু নজরে পড়ে যায় বিজিটিএ'র।


বিজিটিএ'র দার্জিলিং ও শিলিগুড়ি শাখার তরফে সভাপতি শিখিল বিশ্বাস অনুসন্ধান চালিয়ে জানতে পারেন মেয়েটির নাম শ্রাবন্তী সিংহ, সে চতুর্থ শ্রেনির মেধাবী ছাত্রী, একটি ছোট্ট ভাই আছে। বাবা অটো চালক, মা পরিচারিকা। কিন্তু করোনার কারনে দুজনেই উপার্জন হীন। দু বেলা খাবার না জোটায় শাক সেদ্দ করে তাদের দিন গুজরান হয়। তাই বাবা মায়ের ও ছোট ভাইয়ের মুখে দুটো সেদ্ধ ভাত তুলে দেওয়ার জন্য ছোট্ট শ্রাবন্তী নিজেরা যে শাক খায় তার কিছু অংশ নিয়ে নিয়মিত বাজারে বসে। 


এসব খতিয়ে দেখে আজ বিজিটিএ দার্জিলিং ও শিলিগুড়ি শাখার তরফে সভাপতি শ্রী শিখিল বিশ্বাস ও গুরুত্বপূর্ণ সদস্য শ্রী রতন সরকার শ্রাবন্তীর বাড়িতে গিয়ে সংগঠনের তরফে দশ কেজি চাল, দু কেজি আলু, এক কেজি মুসুর ডাল, পাঁচ শ সঃ তেল, কিছু বিস্কুট ও সয়াবিন বড়ি তার বাবা মায়ের হাতে তুলে দেন। তারা শ্রাবন্তীর পরিবার কে আশ্বাস দেন যে ভবিষ্যতে শ্রাবন্তীর পড়াশোনায়ও বিজিটিএ সাহায্য করবে। 


শ্রাবন্তীর বাড়ি থেকে ফেরার পথে শিখিল বাবু এই সংবাদ দাতাকে বলেন,"বিজিটিএ শুধুমাত্র শিক্ষক শিক্ষিকাদের কথা ভাবে এমন নয়, তারা শিক্ষক-ছাত্র-শিক্ষা ব্যবস্থার কথাও ভাবে। বিজিটিএ দেশ তথা রাজ্যের এই দুর্দশার সময়ে সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে, আবার সরাসরি দুঃস্থ মানুষের মুখে অন্ন তুলে দিচ্ছে। আজকের এই প্রচেষ্টা তারই অঙ্গ। তবে বিজিটিএ টিজিটি স্কেলের মুল দাবী নিয়ে সোচ্চার হওয়ার জন্য পুরো মাত্রায় প্রস্তুতি নিচ্ছে।" রাজ্য সম্পাদক শ্রী সৌরেন ভট্টাচার্য বলেন, "বিজিটিএ মানবিক কাজ কর্মের পাশাপাশি টিজিটি আদায়ের ব্যাপারে সরকারের শেষ পদক্ষেপের দিকে তাকিয়ে আছে। নেতিবাচক কিছু দেখলেই আবার সোসাল ডিস্ট্যান্সিং মেনে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়বে।"