করোনা লড়াইয়ে সর্ব স্তরের মানুষ সামিল। করোনা সংক্রমণ রুখতে সারা দেশজুড়ে চলছে লক ডাউন। একদিকে যখন সংক্রমণ ঠেকাতে লক ডাউন অন্যদিকে ধুঁকছে অর্থনীতি। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের তরফে করোনা যুদ্ধে জরুরি ত্রাণ তহবিল খোলেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের নাগরিকদের পশ্চিমবঙ্গ জরুরি ত্রাণ তহবিল অনুদানের জন্য অনুরোধ করেছিলেন। নেতা, মন্ত্রী, সেলিব্রিটি থেকে মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল ও বেশ কিছু সংগঠন মুখ্যমন্ত্রীর সেই ডাকে সাড়া দিয়ে রাজ্যের ত্রাণ তহবিলে অনুদান দিয়েছেন। সেই ডাকে সাড়া দিল Ph.D ডিগ্রীপ্রাপ্ত শিক্ষক- শিক্ষিকারাও। 

মুখ্যমন্ত্রীর আর্জিতে রাজ্যের আপদকালীন উপশমে জরুরি ত্রাণ তহবিলে মোট 1,08,184/- টাকা অনুদান দিলেন পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন Govt Sponsored, Govt Aided বিদ্যালয়ে কর্মরত PhD ডিগ্রীধারী শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ। 

উত্তরবঙ্গের জোনাল অবজারভার ডঃ রাজা ঘোষ বলেন, "এই সরকারের প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে। আমাদের বিশ্বাস, বিদ্যালয় শিক্ষা ব্যবস্থার সার্বিক মানোন্নয়নের স্বার্থে সরকার আমাদের বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিতে দেখবেন। Covid-19 বিরোধী লড়াইয়ে আমরা দেশের, রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রী ও আপামর সমাজের পাশে রয়েছি। উত্তরবঙ্গের আটটি জেলারই সক্রিয় সদস্য আমাদের সংগঠনে রয়েছে, যদিও সদস্য সংখ্যার দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে কোচবিহার জেলা।"

পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন Govt Sponsored, Govt Aided বিদ্যালয়ে কর্মরত PhD ডিগ্রীধারী শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ 2005 এর পূর্বতন সরকারের ব্যয় আইনের দোহাইয়ে প্রাপ্য অতিরিক্ত Increment থেকে বঞ্চিত। সংগঠনের অন্যতম মুখ ডঃ নবারুন সেনের মতে, "আমাদের এই সংগঠনে বাংলার 23 জেলার প্রতিনিধিই আছেন, যাদের নামের তালিকা আমরা শিক্ষা দপ্তরের হাতে তুলে দিয়েছি, প্রয়োজনে আবারও দেবো। কিন্তু এখন পরিস্থিতি খুবই ভয়ঙ্কর, সবার সন্মীলিত প্রচেষ্টায় এই সংকট থেকে মুক্তির ভাবনায় আমরাও ভাবিত। সরকারের কাছে আমাদের আবেদন নিয়ে পরে যাওয়ারও সময় আছে।