চার ধাপের লকডাউন শেষে এবার 'আনলক-১' র পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। আগামী ৮ জুন কন্টেনমেন্ট অঞ্চল বাদে বাকি এলাকার ধর্মীয় স্থান, শপিংমল, হোটেল-রেস্তোরা খোলার অনুমতি পাওয়া গেছে। মূলত ধুঁকতে থাকা অর্থনীতির মুখ চেয়েই এই সিদ্ধান্তে আসতে হয়েছে। তবে কন্টেনমেন্ট এলাকা চিহ্নিত করার দায়িত্ব এবার স্থানান্তরিত হচ্ছে রাজ্য ও জেলা প্রশাসনের হাতে।
চতুর্থ দফার লকডাউনের শেষে নাইট কার্ফু নিয়ে ফের মুখ খুলল কেন্দ্র। বলা হচ্ছে আরও একমাস জারি থাকবে নাইট কার্ফু। তবে সময়সীমা কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সন্ধ্যা ৭ টা থেকে সকাল ৭ টার বদলে এবার রাত ৯ টা থেকে ভোর ৫ টা অবধি বলবৎ থাকবে কার্ফু। এদিনের বৈঠকে পঞ্চম দফার লকডাউনের নির্দেশিকাও ঘোষনা করা হয়।
আজ, ৩১ মে চতুর্থ দফার লকডাউনের শেষ দিন। গতকালের সাংবাদিক সম্মেলনে নয়া নির্দেশিকা জারি করা হয় কেন্দ্রের তরফ থেকে। কন্টেনমেন্ট এলাকাগুলি ছাড়া বাকি অঞ্চলগুলিতে লকডাউনের কড়াকড়ি কমবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। যদিও নাইট কার্ফু জারি থাকবে সমস্ত এলাকাতেই। তবে এর সময়সীমা কমিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং জরুরী প্রয়োজনে বাইরে বেড়ানোর অনুমতিও দেওয়া হয়েছে সরকার থেকে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বলেছে, "স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তাদের এখতিয়ারের পুরো ক্ষেত্রগুলিতে আইনের যথাযথ বিধি যেমন সিআরপিসির ১৪৪ অনুচ্ছেদের অধীনে আদেশ জারি করবে এবং কঠোর সম্মতি নিশ্চিত করবে।"
যদিও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই নাইট কার্ফুর বিরুদ্ধাচারণ করেছেন। তিনি পূর্বেই জানিয়েছিলেন যে একমাত্র জরুরী পরিস্থিতি ও সাম্প্রদায়িক হানাহানির ক্ষেত্রে এইধরনের কার্ফু ঘোষণা করা হয়, করোনা মোকাবিলায় নাইট কার্ফু অপ্রয়োজনীয় এবং নীতিবিরুদ্ধ বলে তার মত ছিল।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊