'করোনা' ভাইরাসের প্রকোপ বেড়েই চলছে দিন দিন। এমন জরুরী ভিত্তিতে রাজ‍্যে ১৮৯৭ সালের মহামারী আইন লাগু করলেন মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ‍্যায়। 


গত শনিবার রাজ্যের তরফে ৩১ মার্চ পর্যন্ত স্কুল কলেজ বন্ধ থাকার ঘোষণা করা হয়৷ কিন্তু, পরিস্থিতি বিবেচনা করে সেই ছুটির সময় সীমা আরও বাড়িয়ে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ 


একই সঙ্গে আইসিডিএস কেন্দ্রগুলিও ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখার ঘোষণা করা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ আইসিডিএস কেন্দ্রগুলি বন্ধ থাকায় মা ও শিশুর জন্য ২ কেজি চাল দেওয়ারও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷

মুখ্যমন্ত্রী জানান-

এক) করোনা সংক্রমণ গোটা বিশ্বে যে হারে বেড়েছে তার পরিসংখ্যান দেখে রাজ্য সরকার আগাম পদক্ষেপ নিচ্ছে৷ যাতে এই মহামারী মোকাবিলা করা যায়৷

দুই) নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানান আগামী, আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি থাকবে৷

তিন) আইসিডিএস কেন্দ্রগুলি বন্ধ রাখা হবে৷ আইসিডিএস বন্ধ থাকার জন্য বিনামূল্যে চাল বিলি করবে রাজ্য সরকার৷ ‌

চার) করোনা রুখতে ২০০ কোটি টাকার তহবিল গঠনের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ করোনা মোকাবিলা যারা কাজ করবেন, তাদের জন্য ১০ লক্ষ লোকের জন্য ৫ লক্ষ টাকার বিমা ঘোষণা করেছেন তিনি৷

পাঁচ) একইসঙ্গে সিনেমা হল বন্ধ রাখার ঘোষণা করেছেন মমতা৷ রিয়েলিটি শোয়ের শুটিং বন্ধ রাখার আর্জি জানিয়েছেন তিনি৷ শপিংমল ও  চা বাগানগুলিতেও করোনা সচেতনতার দিকে জোর দেওয়া হয়েছে৷

অথচ এমন পরিস্থিতিতে গত ১২ মার্চ থেকে শুরু হওয়া উচ্চমাধ্যমিক এবং একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা আগামী ২৭ মার্চ পর্যন্ত চলবে। ফলে কার্যত দুশ্চিন্তায় রয়েছেন ডিউটিরত শিক্ষক এবং পরীক্ষার্থীরা।

রাজ্যে জারি হওয়া এমন মহামারী পরিস্থিতিতে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার দাবী উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে। প্রশ্ন উঠছে -পরীক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের কি সংক্রমণের ভয় নেই? যেখানে বিচারাধীন আসামিদের কোর্টে না এনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানির ব্যবস্থার কথা বলা হচ্ছে, এমনকি ঘরে বসে অফিসের কাজ করার কথা বলা হচ্ছে- সেখানে এই পরীক্ষা চালানো কতটা যুক্তিযুক্ত সে কথাও শোনা যাচ্ছে স্যোশাল মিডিয়াতে।