কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের লকডাউনের সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ সুনিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। এই ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সাধারণ মানুষ, স্বাস্থ্যকর্মী ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করছে। তাই দিন দিন হ্যান্ড স্যানিটাইজারের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই কারনে চাহিদা ও যোগানের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরিতে ব্যবহৃত ইথানল অথবা ইএনএ সরবরাহে কোনরকম সমস্যা যাতে না হয় তা রাজ্য সরকার, আবগারি কমিশনার ,ড্রাগ কনট্রোলারদের দেখতে বলা হয়েছে। 

এর পাশাপাশি যেসব মদের কারখানা হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরিতে আগ্রহী তাদের অনুমোদন অথবা লাইসেন্স দিতে বলা হয়েছে। মদের কারখানা অথবা চিনিকলগুলি যারা একসঙ্গে অনেক হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করতে পারে ,তাদেরকে আরো বেশি করে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এমনকি বেশি উৎপাদনের জন্য তিন দফায় কাজ চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

PIB সূত্রে জানা গেছে- ইতিমধ্যেই ৪৫টি মদের কারখানা এবং ৫৬৪ টি অন্যান্য উৎপাদন সংস্থাকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরির জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে । দু'একদিনের মধ্যে আরো ৫৫টি মদের কারখানাকে অনুমোদন দেয়া হবে। যাদের অনুমোদন দেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে অনেকেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে, বাকিরাও এই সপ্তাহের মধ্যে কাজ শুরু করে দেবে। এর ফলে খুব শীঘ্রই গ্রাহক এবং হাসপাতালে যথেষ্ট পরিমাণ হ্যান্ড স্যানিটাইজার সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

সাধারণ মানুষ এবং হাসপাতালে যাতে ন্যায্য মূল্যে স্যানিটাইজার পাওয়া যায় তার জন্য সরকার এর সর্বোচ্চ খুচরো মূল্য নির্ধারণ করে দিতে পারবে।তবে ২০০ এমএল হ্যান্ড স্যানিটাইজারের খুচরো দাম ১০০ টাকার বেশি করা যাবে না এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার এর অন্যান্য সামগ্রীর দাম সেই অনুপাতে ঠিক করতে হবে।


source: pib