![]() |
শেষে এমন পরিণতি হয়েছিল, চোখে দেখা যায় না।-প্রয়াত তাপস পালের উদ্দেশ্যে চিরঞ্জিতমঙ্গলবার ভোরে মুম্বাইয়ের একটি বেসরকারী হাসপাতালে কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেতা তাপস পাল শ্বেস নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। |
১৯৫৮ সালের ২৯ শে সেপ্টেম্বর হুগলির চন্দননগরে জন্ম। ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি টান ছিল তাঁর। ২২ বছর বয়সে তাঁর প্রথম ছবি ‘দাদার কীর্তি’ মুক্তি পায় । এছাড়াও, একাধিক বাংলা ছবিতে অভিনয় করে দর্শকের মন জয় করেছেন তিনি। উল্লেখযোগ্য ছবি গুলির মধ্যে সাহেব, অনুরাগের ছোঁয়া, গুরু দক্ষিনা, মঙ্গলদ্বীপ প্রভৃতি । গুরুদক্ষিনা' ছবিতে কালী বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর যুগল বন্দি রীতিমতো কাঁদিয়েছিল বাংলার দর্শককে। ‘গুরুদক্ষিণা’ ছবির জন্য তাঁকে আজীবন মনে রাখবে বাংলার দর্শকমহল। '
তাঁর অকাল প্রয়াণে শোকস্তব্ধ পরিবার পরিজনরা। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। শোকস্তদ্ধ শিল্পী মহল। ঋতুপর্ণা টুইটবার্তায় জানিয়েছেন-
A friend, a colleague, a co-star..— Rituparna Sengupta (@RituparnaSpeaks) February 18, 2020
Rest in cinema forever! It's a great loss of Bengal Industry... pic.twitter.com/Db8cEVqv7I
তাপস পালের সঙ্গে একাধিক ছবি করেছেন অভিনেতা চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী। একসঙ্গে বন্ধুর মতো কাজ করতেন তাঁরা। আজ সকালেই তাপস পালের মৃত্যুসংবাদ এসে পৌঁছয় চিরঞ্জিতের কাছে। তারপর কার্যত ভেঙে পড়েছেন তিনি। বললেন, “এক ভাইকে হারালাম। পরপর ভাল ছবি করেছে ও। দাদার কীর্তি, সাহেব… ওর ছবিগুলো ভোলা যায় না। কিন্তু শেষের দিকে ও হারিয়ে গেল। রাজনৈতিক একটা বক্তব্যের জন্য আড়ালে চলে গেল। খুব ভুগেছে ও। শেষে এমন পরিণতি হয়েছিল, চোখে দেখা যায় না। এত উজ্জ্বল ছেলে, হারিয়ে গেল। ওর জন্য আমিও কষ্ট পেতাম খুব। আজ ওর মৃত্যু সংবাদ পেলাম। কিন্তু দেহ চলে গেলেও ওর আত্মা থেকে যাবে। খুব খারাপ লাগছে আমার।”
একই অবস্থা অভিনেত্রী দেবশ্রী রায়েরও। কান্না তাঁর বাধা মানছে না। তিনি বললেন, “কী বলব? কিচ্ছু বলার নেই আমার। আমি ভাবতে পারছি না ও নেই।। অকালে চলে গেল। আমাদের পরিবারের মতো ছিল। কম ছবি করেছি একসঙ্গে?”
Social Plugin