বিভিন্ন স্টল থেকে বই দেওয়া হচ্ছে প্লাস্টিকের ব্যাগে । ক্রেতারা নিজেরাও বাইরে থেকে নিয়ে আসছেন প্লাস্টিকের প্যাকেট। এছাড়াও মেলা প্রাঙ্গণে ব্যবহার হচ্ছে প্লাস্টিকের তৈরি জলের পাউচ, থার্মোকলের থালা। স্টল সাজাতে ফ্লেক্স, ব্যানারের ব্যবহার তো আছেই। তাই গত বছরের তুলনায় প্লাস্টিকের ব্যবহার কমলেও প্লাস্টিকমুক্ত হল না বইমেলা। বইমেলায় প্লাস্টিক নিষিদ্ধ ঘোষণাও করা হয়নি। বস্তুত, বইমেলাকে প্লাস্টিকমুক্ত করতে কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও আগাম উদ্যোগও চোখে পড়েনি।

বইপ্রেমীদের একাংশের দাবি, কর্তৃপক্ষ যে ভাবে মেলা চত্বরে ধূমপান নিষিদ্ধ করেছেন, সে ভাবে প্লাস্টিকও নিষিদ্ধ করুন। তবে পরিবেশকর্মীরা জানান, প্রশাসনের তরফে শুধু নিয়ম করলেই হয় না। মানুষের মধ্যে সচেতনতাও প্রয়োজন। সেই পরিবর্তন এক দিনে হবে না। পরিবেশকর্মী স্বাতী নন্দী চক্রবর্তীর কথায়, ‘‘গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর অনেক ইতিবাচক অবস্থা বইমেলার। বহু ছোট স্টলেও কাপড় কিংবা কাগজের ব্যাগে বই দেওয়া হচ্ছে। প্লাস্টিক নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা হচ্ছে।’’ 

বইমেলা কেন প্লাস্টিকমুক্ত হল না? রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র জানান, সার্বিক ভাবে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ নয়। ৫০ মাইক্রনের থেকে কম পুরু প্লাস্টিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের কথা বলা হয়েছে।আনন্দবাজার পত্রিকার খবর অনুযায়ী, প্লাস্টিক দূষণের বিরুদ্ধে প্রচার গুরুত্ব পেয়েছে বইমেলায় তাঁদেরই স্টলে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা স্কুলপড়ুয়াদের দিয়ে প্লাস্টিক দূষণের বিরুদ্ধে সচেতনতার প্রচার চালানোর পরিকল্পনা করছি।’’


সংবাদ একলব্য সংবাদটি সম্পাদনা করেনি, সরাসরি নিউজ  সেন্ডিকেট থেকে সংগৃহীত।