করোনা আতঙ্কের মধ্যেই নতুন  আতঙ্ক ভাইরাস "লাসা"

      ইতিমধ্যেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত চীন সহ গোটা বিশ্ব। আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। এই অবস্থায় জুড়লো আরো এক নতুন ভাইরাসের আতঙ্ক "লাসা"। নাইজেরিয়ার তিনটি প্রদেশে ইতিমধ্যেই 'লাসা' জ্বরে আক্রান্ত প্রায় ৪৭২ জন। এর মধ্যে এখনও মৃত্যু হয়েছে ৭০ জনের। মূলত নেংটি ইঁদুর থেকেই ছড়ায় এই 'লাসা' ভাইরাস।
  এখনই জেনে নিন এই ভাইরাসের সম্পর্কে 

১) সংক্ৰমণ পদ্ধতি: লাসা জ্বর মূলত সংক্রামিত চর্বি, ইঁদুরের প্রস্রাব দ্বারা দূষিত খাদ্য এবং ইঁদুরেরে স্পর্শ করা খাবার থেকে ছড়ায়। এই রোগের ফলে জ্বরের সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্তক্ষরণ হতে পারে এবং চোখের ও নাকে সংক্রমন হতে পারে। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর থেকে অন্যের শরীরে রক্ত বা থুতু সঞ্চালনের মাধ্যমেও ছড়ায় এই ভাইরাস। 

২) লক্ষণ: বেশিরভাগ ক্ষেত্রে (৮০%) 'লাসা'র কোনো উপসর্গ থাকেনা। ২০% লোকের মধ্যে এই ভাইরাসের উপসর্গ দেখা যায়। মাড়ির রক্তপাত, শ্বাসকষ্ট, বমি বমিভাব, বুকে ব্যথা বা বিপজ্জনকভাবে নিম্ন রক্তচাপের মতো আরও গুরুতর লক্ষণ দেখা দিতে পারে। দীর্ঘমেয়াদী জটিলতায় শ্রবণশক্তি হ্রাস অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে । যারা গর্ভবতী, তাদের ৯৫% ক্ষেত্রে গর্ভপাত হতে পারে।

৩) চিকিৎসা: বিশ্ব স্বাস্থ্য় সংস্থা WHO জানিয়েছে, 'লাসা' আক্রান্তের চিকিৎসায় ভাইরাস ওষুধ রিবাভিরিন (ribavirin) ব্যবহার করা যেতে পারে। যদিও এই প্রতিষেধক প্রয়োজনের তুলনায় এখনো অপ্রতুল।