অবশেষে বন্দী-ই হতে চাই
কিশোর বনিক চৌধুরী


জীবনের উচ্ছৃঙ্খলতা চিনিয়েছে আমায়, পাহাড়ের অভিব্যক্তি।
শূণ্যতা দেখিয়েছে আমায়, মাঝ সমুদ্রের নিবিড় বহতা।
একাকীত্ব চিনিয়েছে আমায়, মনোরম ঝর্ণার  নীরব উৎস।
ভবঘুরে ভাব দিয়েছে আমায়, প্রকৃতির ভিতর লুকানো সকল ব্যুৎপত্তি,
ছন্নছাড়া চলন গমন দেখিয়েছে আমায়, এঁকেবেঁকে  যাওয়া নদীর বাঁক।
অভুক্ত পেট চিনিয়েছে আমায়, মাটির রূঢ় গন্ধ।
উদাসীনতা দেখিয়েছে আমায়, সৃজনশীলতার অলংকার।
ক্ষ্যাপাটে আচরণ শিখিয়েছে আমায়,
কোনো নির্জন স্থানে,
নিজের সাথে
নিজের গভীর আলাপ।
মাতলামি দেখিয়েছে আমায়, অলিগলি থেকে রাজপথের সুপ্ত ইতিহাস,
ক্ষতর দাগ অনুভব করিয়েছে আমায়,
সময়ের দগ্ধ আস্ফালন!
প্রতিবাদের কন্ঠ বুঝিয়েছে আমায়,
কৃষক-শ্রমিকের উপর হওয়া  অসয্য অত্যাচার।
যা যা জেনেছি,  যা যা চিনেছি, যা যা দেখেছি, যা যা শিখেছি, যা যা উপলব্ধি করেছি-
তা নিয়ে ফিরতে চাই, ফিরতে চাই, বিশাল আকাশের নীচে।
যেখানে দাঁড়িয়ে থাকা কোনো দু জোড়া চোখ, আমায় আটকে রাখবে তার সাথে,
যেখানে গড়ে ওঠা অভিমানের শহর, আমায় বোঝাবে তার কথা।
যেখানে মনে জমে থাকা রাগ অনুরাগ গুলো,
আমায় শোনাবে হৃদ স্পন্দন-য়ের অভিলাষ।
বেড়ে ওঠা সম্পর্ক গুলো  জানাবে, আমায় অনুভুতির জাল।
চুমুদের বারান্দা চেনাবে, দু-ঠোঁটের আলাপ-ই জলছবি।
আমি সেই রকম একটা আকাশের নীচে থাকা
প্রেমের কুঠুরি-তে বন্দী হয়ে থাকতে চাই,
আমি ওই কুঠুরি তে ভালোবাসা দিয়ে আলো জ্বালাতে চাই,
আমি যে বন্দী হতে চাই,
কেউ একজন কি আছো? 
কেউ একজন?
যে আমায় প্রেমের কুঠুরি তে বন্দী করবে?!
সুযোগ করে দেবে ভালোবাসা দিয়ে আলো জ্বালাতে...
কেউ আছো? কেউ একজন?

কেউ একজন আছো?