![]() |
pic source: kolkata24×7 |
বৃহস্পতিবার ইস্টওয়েস্ট মেট্রোর উদ্বোধন হতে চলেছে। শহরে মেট্রো রেলের যাত্রাপথের সূচনা করবেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। কিন্তু আমন্ত্রিত নন রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এর জেরেই অনুষ্ঠান বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সুজিত বসু, কাকলি ঘোষ দস্তিদার ও কৃষ্ণা বসু।
স্থানীয় সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, বিধায়ক সুজিত বসুকে অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে। আমন্ত্রিত হননি পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ না করায় অনুষ্ঠান বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।
মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, নিয়ম মেনেই সব কাজ হয়েছে। সে কারণে সাংসদ, বিধায়কদের আমন্ত্রণ করা হয়েছে।
বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনীতির অভিযোগ করেছে তৃণমূল শিবির। পাল্টা মুকুল রায় তৃণমূলকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অতীত স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। ২০০৯ সালের ঘটনাকে টেনে মুকুল রায় বলেন,''এতো ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি! মমতাও তো রেলমন্ত্রী থাকাকালীন টালিগঞ্জ থেকে গড়িয়া বাজার মেট্রোর সম্প্রসারণে ডাকেননি তত্কালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। রাজ্য সরকারের কোনও প্রতিনিধি ছিলেন না। যত দূর স্মরণে পড়ে সে সময় খুব সমালোচনা হয়েছিল। বামপন্থীরাও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল। যা দেখিয়েছিলেন, সেটাই এখন উনি দেখছেন। ওনার কথা বলা সাজে না।"
২০০৯ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন টালিগঞ্জ থেকে গড়িয়া বাজার পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার লম্বা মেট্রোপথের সম্প্রসারণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি তৎকালীন মূখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। সম্প্রসারিত মেট্রোপথের উদ্বোধন করেছিলেন মমতা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন তত্কালীন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় ও রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধী। সে সময় বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু দাবি করেছিলেন, সরকারি টাকায় রাজনৈতিক অনুষ্ঠান করছেন রেলমন্ত্রী।
Social Plugin