“ইরান আর বেশিদিন পরমাণু অস্ত্র রাখার অনুমতি পাবে না। সুপ্রভাত, ইরাকে গত কালকের ইরানি হামলায় কোনও মার্কিন সেনার মৃত্যু হয়নি। মার্কিন সেনারা সমস্ত রকম হামলার জন্য তৈরি। সতর্কতা অবলম্বনের জন্য কোনও হতাহতের খবর নেই। শুধু সেনা ঘাঁটির সামান্য ক্ষতি হয়েছে। ইরাক বা মার্কিন সেনার কোনও ক্ষতি হয়নি।” গতরাতে টুইটের পর আজ মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ইরানের হামলার পর মুখ খুললেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ট্রাম্প বলেন, “গত সপ্তাহে মার্কিন সেনাকে হুমকি দেওয়ার অপরাধে ইরানের সেনা প্রধান কাসেম সোলেইমানির উপরে হামলা চালায় মার্কিন সেনা। তাঁর মৃত্যুতে স্বস্তি এসেছে। তাঁর নির্দেশেই মার্কিন সেনার উপরে মুহুর্মুহু হামলা হয়েছে। সাম্প্রতিক কালে তিনি নতুনভাবে হামলার ছক কষছিলেন, তাই তাঁকে চিরঘুমে পাঠিয়ে দেওয়া হল। সোলেইমানির মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে বিশ্বের সমস্ত সন্ত্রাসবাদীদের কাছে একটাই বার্তা দেওয়া হল। নিজেদের বাঁচাতে চাইলে মানবসম্পদ ধ্বংসের ভাবনা মাথা থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিৎ। ইরান যদি বার বার সন্ত্রাসে মদত দেয় তাহলে সেখানে শান্তি ফিরবে না। এসব চলতে থাকলে আমেরিকা কিন্তু বেশিক্ষণ সহ্য করবে না। আমরা এখন নিজেরাই তেল সরবরাহ ও উৎপাদন করতে পারি। মধ্যপ্রাচ্যের তেলের দরকার আমেরিকার আর নেই। মার্কিন সেনা ও অর্থনীতি সাড়া বিশ্বের মধ্যে এক নম্বরে রয়েছে। আইসিস ইরানের প্রকৃত শত্রু। আইসিস ধ্বংস হলে ইরানের উন্নতি হবে। ইরান যদি আমেরিকার সঙ্গে হাত মিলিয়ে আইসিস বিতারণে উদ্যোগী হয় তাহলে উপকার হবে।”
ইতিমধ্যে ইরাকের দুটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে ৮০ জন মার্কিন সেনাকে উড়িয়ে দিয়েছে ইরানের সেনা। এই ঘটনার পর সেদেশের প্রধান ধর্মগুরু আয়াতোল্লা খোমেনেই বলেছেন, এটা শুধু ওয়াশিংটনের গালে থাপ্পড় মাত্র, আরও অনেক কিছু বাকি আছে। যদিও আজকের হামলার ঘটনায় সেনার মৃত্যুর কথা স্বীকার করেনি আমেরিকা।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊