pic source:ndtv gadget

‘অ্যাডজাস্টেড গ্রস রেভেনিউ’-এর (এজিআর) সংক্রান্ত পূর্ববর্তী রায় পুনর্বিবেচনার আরজি বৃহস্পতিবার খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। 

সব দিক খতিয়ে দেখে এই টেলিকম সংস্থাগুলির দায়ের করা রিভিউ আবেদনের কোন সারবত্তা নেই বলে সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে। যার অর্থ কেন্দ্রীয় সরকারকে ₹৯২০০০ কোটি মেটাতেই হবে এয়ারটেল এবং ভোডাফোন-সহ বেসরকারি সংস্থাগুলিকে। ফলে দেনায় ডুবে থাকা টেলিকম শিল্পের কাছে সর্বোচ্চ আদালতের এ দিনের নির্দেশ বড় ধাক্কা বলে মনে করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।

উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে প্রণীত টেলিকম নীতি অনুযায়ী টেলিকম সংস্থাগুলিকে মোট আয়ের কত শতাংশ লাইসেন্স ফি ও স্পেকট্রাম ব্যবহারের চার্জ বাবদ কেন্দ্রীয় সরকারকে দিতে হবে তা নির্ধারণের জন্য কেন্দ্রীয় টেলিকম দফতর (ডিপার্টমেন্ট অফ টেলিকম) সংস্থাগুলির ‘অ্যাডজাস্টেড গ্রস রেভেনিউ’-এর (এজিআর) যে সংজ্ঞা ঠিক করে দিয়েছিল তা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৫ সালে মামলা করে টেলিকম সংস্থাগুলির সংগঠন সেলুলার অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া (সিওএআই)। চোদ্দ বছরের পুরোনো সেই মামলায় গত বছরের অক্টোবরে রায় ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট। তিন বিচারপতির বেঞ্চ টেলিকম সংস্থাগুলির আবেদন ‘অসার’ বলে খারিজ করে DoT-এর বক্তব্যকে বৈধ মান্যতা দেয়।

এই রায়ের ফলে, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে টেলিকম সংস্থাগুলির সুদ ও জরিমান সহ ৯২,৬৪১ কোটি টাকার বকেয়া দেনা মেটাতে হবে! এর মধ্যে লাইসেন্স ফি ও স্পেকট্রাম ইউসেজ চার্জ বাবদ মূল দেনা ২৩,১৮৯ কোটি টাকা, সুদ ৪১,৬৫০ কোটি টাকা, জরিমানা ১০,৯২৩ কোটি টাকা এবং জরিমানার উপর সুদ ১৬,৮৭৮ কোটি টাকা।

এই সময় সংবাদ জানিয়েছে- সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন খারিজ হওয়ায় সবথেকে বেশি ধাক্কা খেল এয়ারটেল ও ভোডাফোন আইডিয়া। বস্তুত তাদের কাছে এটা মৃত্যুদণ্ডের সামিল। কেননা, এয়ারটেলকে ২১,৬৮২ কোটি টাকা এবং ভোডা-আইডিয়াকে ২৮,৩০৮ কোটি টাকা দিতে হবে সরকারকে। সেই তুলনায় মাত্র তিন বছর আগে বাণিজ্যিক পরিষেবা শুরু করার কারণে রিলায়েন্স জিওকে দিতে হবে মাত্র ১৩ কোটি টাকা!


সংবাদ একলব্য সংবাদটি সম্পাদনা করেনি, সরাসরি নিউজ সেন্ডিকেট থেকে সংগৃহীত।