পড়াশুনার সাথে খেলাধূলা শিশু মনের বিকাশে সহায়তা করে৷ বেশ কিছুদিন আগে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ কর্তৃক বিদ্যালয়ে নিয়মিত খেলার ক্লাস রাখার জন্য একটি নিয়ম চালু হয়৷ রাজ্যের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলি কম বেশি সেই নিয়ম পালনও করছে৷ কিন্তু বেশ কিছু ক্ষেত্রে পড়াশুনার পাশাপাশি খেলাধূলাকে নিয়মিত পাঠ্যসূচির অন্তর্ভূক্ত করা ব্যাহত হচ্ছিল৷ তাই এবার প্রতিদিনের খেলার ক্লাসের সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দিল খোদ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ৷

এই বিষয়ে সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা ও জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সাংসদের সভাপতির সাথে বৈঠক করেন৷ ঐদিনের বৈঠকে স্থির হয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রতিটি ক্লাসের সময় সীমা, পঠন-পাঠনের বিষয় ও খেলা ধূলা কী কী প্রকারের হতে পারে সে নিয়ে৷ বৈঠকের শেষে পর্ষদ সভাপতি জানিয়েছেন, দিনের প্রথম ক্লাস হবে মাতৃভাষার৷ পরবর্তী ক্লাস হবে গণিতের, তৃতীয় ক্লাস হবে ইংরাজি ভাষার৷ আর চতুর্থ তথা শেষ ক্লাস হবে খেলাধূলার৷ প্রতিটি ক্লাসের ক্ষেত্রে ৪০ মিনিট সময় সীমা বরাদ্দ করা হয়েছে৷

এর আগে চতুর্থ ক্লাস ছিল মিড ডে মিলের৷ এখন ঐ ক্লাস খেলার জন্য বাধ্যতামূলক হওয়ায় মি ডে মিল হবে তারও পরে৷ 

এমন নির্দেশিকা জারি প্রসঙ্গে পর্ষদ সভাপতির ব্যাখ্যা, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে মানুষের শারীরিক কর্ম দক্ষতা বহুলাংশে হ্রাস প্রাপ্ত হচ্ছে৷ ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রের কবল থেকে মুক্তি পাচ্ছে না শিশুরাও৷ তাই বিভিন্ন লোকক্রীড়ায় অংশ গ্রহণের মাধ্যমে শিশু মনের সাথে শিশুদের শারীরিক গঠনও মজবুত হবে বলে করছেন তিনি৷ 

শুধু তাই নয় বাধ্যতামূলক খেলার ক্লাস প্রচলনের ফলে বিদ্যালয় ছুট পড়ুয়ার ও অনেক কমে যাবে বলে করছেন রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি৷

কিশামত দশগ্রাম এন পি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈকত সরকার জানিয়েছেন- "সময় সারনীর খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ২০১৩ পর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। এতে সহপাঠক্রমিক বিষয়টির উপর গুরুত্ব দেওয়ায় পাঠদান মনোগ্রাহী হবে এবং বিদ্যালয় ছুট  কমবে বলে মনে করি।"

তবে এই ঘোষনার সাথে সাথে অভিযোগ উঠে এসেছে - কিছু বিদ্যালয় আছে যেখানে ২জন শিক্ষক সেখানে সমস্যা হতে পারে  এই ভাবে রুটিন অনুসারে ক্লাস করাতে। শিক্ষক অপ্রতুলতায় কীভাবে এই রুটিন মেনে ক্লাস সম্ভব তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।