গত ১৪ জানুয়ারি একটি বিজ্ঞান প্রযুক্তি মেলায় রাজ্যের রাজ্যপাল মহাকাব্যে বিজ্ঞান প্রযুক্তির আধুনিকতম প্রয়ােগের উদাহরণ দিয়ে পুরাকালে ভারতের বিজ্ঞান প্রযুক্তির উৎকর্ষ প্রমাণ করতে চেয়েছেন। 

রাজ্যপাল এদিন পূর্ব ভারত বিজ্ঞান ও ইঞ্জিনিয়ারিং মেলা ২০২০ সালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে বলেন, “মহাভারতে আমাদের এমন পরিস্থিতি দেখিয়েছিল যে সেখানে সঞ্জয় পাণ্ডব এবং কৌরবদের মধ্যে যুদ্ধের সমস্ত কিছু বর্ণনা করেছিলেন কিন্তু মাঠ থেকে নত। আমাদের অর্জুনের সেই তীর গুলি ছিল যাতে পারমাণবিক শক্তি ছিল।” তিনি আরও বলেন যে বিংশ শতাব্দীতে মানুষ বিমান আবিস্কার করেছিল, তার আগে থেকেই রামায়ণে উদান খাটোলা অর্থাৎ উড়ন্ত রথ ছিল।

তিনি আরও যোগ করেছেন যে, “আমরা যদি আমাদের ধর্মগ্রন্থে খোঁজখবর করি, তাহলে দেখা যাবে বিমান আবিষ্কার হয়েছিল ১৯১০ বা ১৯১১ সালে। তবে রামায়ণে আমাদের উদান খাটোলা ছিল।” এর জন্য, রাইট ভাইয়েরা-অরভিল এবং উইলবার-প্রথম বিমান তৈরি করেছিল যেটি ১৯০৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর মার্কিন উত্তর ক্যারোলিনাতে উড়েছিল। ধনকর বলেছিলেন যে বিশ্বের এখন আর ভারতকে উপেক্ষা করার সামর্থ নেই।" 

পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের দাবী "তার এই বক্তব্য শুধু বিজ্ঞান বিরােধী নয়, বিজ্ঞানের পদ্ধতি ও বিজ্ঞানের অগ্রগতির ধারাকে অস্বীকার করে। যা সংবিধানে উল্লেখিত বিজ্ঞানমনস্কতা ও অনুসন্ধিৎসার পরিপন্থী এবং বিজ্ঞান চর্চা ও বিজ্ঞান গবেষণার অগ্রগতির অন্তরায়।" 

বিজ্ঞান মঞ্চ প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছেন- "সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে রাজ্যপালের পড়ুয়াদের সামনে এই ধরনের অবৈজ্ঞানিক বক্তব্য আদৌ অভিপ্রেত নয়। আমরা লক্ষ্য করছি বেশ কিছুদিন ধরে একাংশের মানুষ পরিকল্পিতভাবে কল্পকথাকে বিজ্ঞান, মহাকাব্যের ঘটনাকে ইতিহাস বলে অবিরাম অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।" 

পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ রাজ্যপালের ঐ অবৈজ্ঞানিক ভাষ্যকে তীব্র ভাষায় নিন্দা জানায়। তারা জানিয়েছে- "আশার কথা বিজ্ঞানীরা এর বিরুদ্ধে সােচ্চার হয়েছেন।"