প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের সার্ধ শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তিনি কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের (কেওপিটি) ১৫০ বছর উপলক্ষে বন্দরের মূল জেটিতে একটি ফলকের আবরণ উন্মোচন করেন।


কেওপিটি-কে দেশের জলশক্তির ঐতিহাসিক প্রতীক বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এই সংস্থার ১৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান বলে মন্তব্য করেন। 


কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের অবসরপ্রাপ্ত ও বর্তমান কর্মীদের অবসরকালীন ভাতার তহবিলের ঘাটতি পূরণে শ্রী নরেন্দ্র মোদী চূড়ান্ত ইন্সটলমেণ্টের ৫০১কোটি টাকার চেক প্রদান করেন।


তিনি কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের দুই প্রবীনতম কর্মী শ্রী নাগিনা ভগৎ (বয়স ১০৫ বছর) ও শ্রী নরেশ চন্দ্র চক্রবর্তীকে (বয়স ১০০ বছর) সম্বর্ধনা জানান।


প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবনের উপজাতি ছাত্রীদের জন্য কৌশল বিকাশ কেন্দ্র ও প্রীতিলতা ছাত্র আবাসের উদ্বোধন করেন।


তিনি বলেন, দরিদ্র, পিছিয়ে পড়া ও দলিত সহ পশ্চিমবঙ্গের সর্বস্তরের উন্নয়নে কেন্দ্র সব রকমের উদ্যোগ নিয়ে থাকে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার আয়ুষ্মান ভারত যোজনা ও পি এম কিষাণ সম্মান নিধি-র অনুমোদন দিলেই রাজ্যের জনগণ এই দুটি প্রকল্পের সুবিধে পাবেন।


শ্রী মোদী, নেতাজী সুভাষ ড্রাই ডকটির আধুনিকীকরণের পর কোচিন – কলকাতা জাহাজ মেরামত ইউনিটটির উদ্বোধন করেন।


কেওপিটি-তে পণ্য পরিবহণে গতি আনতে এবং সময় বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রী ‘ফুল রেক হ্যান্ডলিং ফেসিলিটি’রও উদ্বোধন করেন ও কলকাতা ডক – এ আধুনিক রেল পরিকাঠামোটি জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন।


তিনি কেওপিটি-র হলদিয়া ডক কমপ্লেক্সে ৩ নম্বর বার্থে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে পণ্য পরিবহণের এবং নদী তীরের উন্নয়ন কর্মসূচির-ও সূচনা করেন।