ক্রমশ ভয়ানক আকার ধারণ করছে করোনাভাইরাস । চিনে প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিষেধকের হদিশ মেলেনি। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত যেখানে চিনে মৃতের সংখ্যা ছিল ১৭০, আজ শুক্রবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১৩-তে। এরমধ্যে শুধু হুবেই প্রদেশেই মৃত্যু হয়েছে ২০৪ জনের। সমগ্র চিনে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার ছুঁয়েছে। 

পরিস্থিতি বিচার করে করোনাভাইরাস নিয়ে সারা বিশ্বকে সতর্ক করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা । বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে গতকালই তাঁদের তরফে।

চিনের বাইরে মোট ১৮টি দেশে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার খবর মিলেছে। তবে চিনের বাইরে অন্য কোনও দেশে এখনও ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেনি করোনাভাইরাস। গতকাল ভারতের কেরালায় এই ভাইরাসে একজনের আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। এদিকে, করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় যথেষ্ট চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চিন। প্রায় চারশো কোটি ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে এর জন্য। বিশেষজ্ঞ দল তৈরি করে কাছ থেকে এর উপর নজর চালানো হচ্ছে। চিনে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছেন বিশিষ্ট শিল্পপতি জ্যাক মা, বিল গেটস ও মেলিন্ডা গেটস। এই প্রচেষ্টাকে প্রশংসা করেছে হু। চিনে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস আতঙ্কে কাঁপছে সে দেশের প্রতিবেশী দেশগুলি । 

চিন-রাশিয়া সীমান্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়া । ইতালির প্রধানমন্ত্রী চিন-ইতালির মধ্যে সমস্ত উড়ান বাতিলের ঘোষণা করেছেন। এয়ার ইন্ডিয়া, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, লায়ন এয়ার, ইন্ডিগোর মতো উড়ান সংস্থা তাদের চিনগামী বিমান পরিষেবা আপাতত বন্ধ রেখেছে। দক্ষিণ কোরিয়া , ফ্রান্স , ব্রিটেন বিমান পাঠিয়ে চিন থেকে তাদের সমস্ত নাগরিকদের দেশে ফেরানোর প্রস্তুতি শুরু করেছে।

লাইভ মিনটের খবর অনুযায়ী, বিশেষ বিমান পাঠাচ্ছে নিউজিল্যান্ড , সিঙ্গাপুরও । জাপান ইতিমধ্যেই দু’টি বিমানে করে তাদের দেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে এনেছে। নাগরিকদের দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করছে ভারতও। 

তবে সাবধানতার প্রয়োজন বললেও আতঙ্কিত না হওয়ার অনুরোধ করেছেন হু-এর ডিরেক্টর জেনারেল তেদ্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস।