জেল হেফাজতে থাকা এক বিচারাধীন বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো গোটা কোচবিহার জেলা জুড়ে। এই মৃত্যুর প্রতিবাদে বিজেপির পক্ষ থেকে কোচবিহার শহরের ঘড়ি মোর অবরোধ করে I


সোমবার কোচবিহার মেডিকেল কলেজের ওই বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়। মৃত ওই বিজেপি কর্মীর নাম রামপ্রসাদ বারুই। তার বাড়ি দিনহাটা থানার গোসানিমারি এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৩০ শে ডিসেম্বর গোসানিমারি বাজারে তৃণমূল বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়ার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। অভিযোগের তীর বিজেপির বিরুদ্ধে। ওই হামলার অভিযোগে ঘটনার পরের দিন রামপ্রসাদ বারুই সহ ৬ জন বিজেপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।


আদালতে তোলা হলে তাদের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু গত ৯ জানুয়ারি রামপ্রসাদ বারুই অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরের দিন সকালে তাকে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় ১১ জানুয়ারি তাকে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন চিকিৎসক। 

১২ জানুয়ারি তাকে কোচবিহার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার সকালে সেখানে তার মৃত্যু হয়। জেল হেফাজতে থাকা বিজেপি কর্মীর মৃত্যু সম্পর্কে বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি ব্রজ গোবিন্দ বর্মণ কোচবিহার টাইমসকে বলেন, নির্দোষ বিজেপি কর্মী বিজেপি কর্মী রামপ্রসাদ বারুইকে প্রথমেই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা পিটিয়েছে। পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গিয়ে থানার লকআপে পিটিয়েছে। যার ফলেই ওই বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়।

কোচবিহারের পুলিশ সুপার ডঃ সন্তোষ নিম্বলকর বলেন, ‘যেহেতু তিনি জেল হেপাজতে ছিলেন, তাই পুলিশের মারধরের অভিযোগ ঠিক নয়। ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ে তদন্ত হবে।’