মূলতঃ এখানে ২০ থেকে ২৫ ঘর বাগ্দী, মালাকার সম্প্রদায়ের পুজো পান ধর্মরাজ। কৃষ্ণনগরের বাগ্দীপাড়া ও মালোপাড়ায় এই লোকায়ত পুজোর প্রচলন। তবে বহু মানুষের সমাগম ঘটে এই পূজাকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত হওয়া মেলায়। 

মালোপাড়ার মানুষজন বলেন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র এই পুজোর প্রচলন করেন। আবার বাগ্দীপাড়ার  মানুষজন বলেন তাদের কিছু বাগ্দীসম্প্রদায়ের মানুষ নদীতে জাল দিয়ে মাছ ধরার সময় তাদের জালে এই ধর্মরাজের শিলা উঠে আসে, পরে ঠাকুরের স্বপ্নাদেশে এই বিগ্রহ এখানে পূজিত হয়। 

মাঘ মাসের আমাবস্যার দ্বিতীয়াতে ও সরস্বতীপুজোর আগেই এই পুজো হয়ে থাকে। এখানে শোলার ছাতা দিয়ে ও মিষ্টান্নসহকারে পুজিত হয় বাবা  ধর্মরাজ। 

জাগ্রত এই ধর্মতলায় রকমারি সামগ্রী, খেলনা, মাটির পুতুলের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা । বাগ্দীপাড়ার প্রবীন শোলা শিল্পী প্রফুল্লবাগ বলেন প্রায় ২০০ বছরের পুরানো এই পুজো, শিবের আর এক রুপ এই ধর্মরাজ পূজা। এখানে খুব জাগ্রত এই বিগ্রহ। বহুদূর থেকো মানুষের সমাগম ঘটে এই পুজোপ্রাঙ্গনে।