অবশেষে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের ঘোষণা। মুর্শিদাবাদ, মালদা, উত্তর দিনাজপুর, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট, বারাসত মহকুমা, এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ইন্টারনেট বন্ধ করার ঘোষণা প্রদান করা হয়।

CAB-NRC র বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় রেল অবরোধ-ভাঙচুর হয়েছে। পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যবাসীর কাছে শান্তির আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

শুক্রবার সকাল থেকে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ দেখানো হয় ক্যাবের বিরুদ্ধে। ফলে কলকাতার বিস্তীর্ণ অংশ যানজটে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। তবে সমস্যা অনেক বেশি তৈরি হয়েছে, উলুবেড়িয়া, খড়দহ, ডায়মন্ড হারবার এবং মুর্শিদাবাদে। সেখানে রেল অবরোধ, স্টেশনে ভাঙচুর হয়েছে বলেও খবর মিলেছে। উলুবেড়িয়াতে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে। সমস্ত স্টেশন খালি করে দেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের ট্রেন থেকে নামিয়ে সড়কপথে বাড়ি পাঠানো হচ্ছে।

শুক্রবার দুপুর থেকে নিমদিঘির নরেন্দ্র মোড় এলাকায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে দেন তাঁরা। পোড়ানো হয় কুশপুতুল। বাগনানেও তৈরি হয়েছে উত্তেজনা। লাইব্রেরি মোড়ে টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান অনেকেই। ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে অবরোধ।

মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গাতেও আরপিএফ কর্মীদের মারধর করা, কেবিনম্যানকে পেটানো থেকে আগুনও লাগানো হয় স্টেশনে। ডায়মন্ড হারবার শাখার বাসুলডাঙাতেও এবং বারুইপুর-ডায়মন্ড হারবার শাখায় রেল অবরোধ করেন ক্যাব বিরোধীরা।

এক বিবৃতিতে সরকার জানিয়েছে, ‘সরকার বার বার বলা সত্ত্বেও, কিছু বহিরাগত, সাম্প্রদায়িক শক্তির উস্কানিতে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হিংসা ছড়ানোর চক্রান্ত করছে। তাই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে নিরুপায় হয়ে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।