সংবাদ একলব্য, ২৩ডিসেম্বর:
ডি ও এবং বি এল ও ডিউটি করতে রাজি না হওয়ায় রাজ্যের বিভিন্ন সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকরা হুমকি দিচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষকদের , এরকমই অভিযোগ উঠছে শিক্ষক মহল থেকে। বিশেষ সূত্রে খবর কিছু কিছু শিক্ষককে সার্ভিস বুকে হাত পরার ভয় দেখানো হচ্ছে। এমনকি বিদ্যালয়ে পুলিশ পাঠিয়ে ডিউটি ফাইল হাতে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত শিক্ষকদের মতে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী কোন শিক্ষককে শিক্ষা বহির্ভূত কাজ করতে দেওয়া যাবেনা। পাশাপাশি বি এল ও এবং ডি ও ডিউটির জন্য অনিচ্ছুক শিক্ষকদের কাজে লাগানো যাবে না। কিন্তু তা সত্ত্বেও শিক্ষকদের এই ডিউটি দেওয়ায় শিক্ষক শিক্ষিকারা এই কাজ বয়কট করেন। এমতাবস্থায় প্রশাসনের এহেন পদক্ষেপকে ভালো চোখে দেখছেন না শিক্ষক মহল।
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক শ্বাশ্বত ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান " পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষকদের উপর এই যে ভীতি প্রদর্শন তা খুবই লজ্জা জনক। একে ধিক্কার জানাই। "
প্রসঙ্গত , বছরের পর বছর ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজের জন্য (DO/BLO) ১ মাস, ২ মাস করে দায়িত্ব চাপানো হয় প্রাথমিক শিক্ষকদের উপর। যাদের এই কাজ পরে তাদের শনি, রবি, পুজোর ছুটি, গরমের ছুটি সবই চলে যায়। গত বছর ২৮/০৮/২০১৮ শাশ্বত ঘোষ নদীয়ার নাকাশীপাড়া বিডিও অফিসে ডিও ডিউটির ট্রেনিংয়ের সময় শিক্ষকদের এই ডিউটি দেওয়া নিয়ে প্রতিবাদ করে এবং বিভিন্ন মহল থেকে শোকজ করা হয় তাকে। এর পর কোলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। ২৮/০৯/২০১৮ তারিখে কোলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মাননীয় তপব্রত চক্রবর্তী পিটিশনার সুতন্ত্র হালদারের করা কেসের রায় হিসাবে শুনিয়েছিলেন শিক্ষকদের টিচিং আওয়ারে কোনো নন টিচিং কাজ দেওয়া যাবে না।
এ বছরও ডিউটি এসেছে বিডিওদের কাছ থেকে। নদীয়া জেলাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে অভিযোগ আসছে জোরপূর্বক এই ডিউটির appointment letter received করানো হচ্ছে। বেশিরভাগ জায়গাতেই শিক্ষকরা অবশ্য প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন এবং ডিউটি নেননি। ট্রেনিংয়েও না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। প্রসঙ্গত হাইকোর্টের রায়কে কিছুটা মান্যতা দিয়ে এবারের ডিউটির সময় করা হয়েছে সোম থেকে শুক্রবার দুপুর ৩টে থেকে বিকেল ৫ টা এবং শনি ও রবিবার বেলা ১১ টা থেকে বিকেল ৪ টে।
প্রসঙ্গত ১৩ ডিসেম্বর তেহট্ট ১ নং ও চাকদা বিডিও অফিসে ডিও ডিউটির ট্রেনিং ছিলো। শিক্ষকরা মিলিতভাবে সেই ট্রেনিং বয়কট করেন ও প্রতিবাদ করেন।
এব্যাপারে শ্বাশ্বত ঘোষ জানান -সংগ্রামী অভিনন্দন জানাই ওই শিক্ষক শিক্ষিকাদের। তিনি বলেন-
"বিডিওদের এই চালাকি দেখে কেউ বিভ্রান্ত বা আতঙ্কিত হবেন না। খুব বেশী হলে একটা শোকজ লেটার পাবেন। সেটা কিছুই না। আমি নিজে BDO, SI, DI, DM সবার কাছ থেকে শোকজ খেয়েছি। তার যথাযোগ্য উত্তরও দিয়েছি, মানে উত্তর দিয়েছি। আমার চাকরী জীবন একদম সুরক্ষিত আছে। আপনিও ভয় পাবেন না। ডিও/বিএলও ডিউটি না করার জন্য শোকজ এলে নিজের নিজের জেলা নেতৃত্বদের কাছ থেকে শোকজের উত্তর পেয়ে যাবেন। শোকজের উত্তর জমা দেওয়ার পর গল্প শেষ। কারণ আর কোনো step নেওয়ার ক্ষমতা বিডিওদের নেই।"
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊