বৃহত্তর গ্র্যাজুয়েট টিচারস এসোসিয়েশান এর আন্দোলন কর্মসূচী ক্রমশ বিভিন্ন জেলায় আগুনের হলকার মত ছড়িয়ে পড়ছে । গতকাল মালদা জেলা বিজিটিএ কমিটির সফল বিক্ষোভ সমাবেশ ও ডি আই ডেপুটেশনের পর আজ আবার দঃ দিনাজপুর জেলায় টিজিটি ও ক্যাস এর দাবীতে আন্দোলন বিজিটিএ'র! আজ বেলা ২ টোয় দঃ দিনাজপুরের বালুরঘাট ট্যাংক মোড় এলাকায় বিজিটিএ দঃ দিনাজপুর জেলা কমিটির ডাকে এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও ডি.আই ডেপুটেশনের ডাক দেওয়া হয়। নির্দিষ্ট সময়ের অনেক আগেই জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রায় তিন শতাধিক গ্র্যাজুয়েট টিচার সভাস্থলে এসে জড় হন। সভা শেষে মিছিল করে স্লোগান সহকারে তারা পৌঁছান বালুরঘাট ডি আই অফিসে।
[আরও পড়ুন: কলকাতায় IPL 2020 নিলামে উঠতে চলেছেন ৯৭১ জন ক্রিকেটার]
সেখানে তারা ডি আই সাহেব কে ডেপুটেশনের মাধ্যমে তাদের টিজিটি স্কেল ও ক্যাস বেনিফিট সম্বলিত দাবীপত্র তুলে দেন। বিজিটিএ দঃ দিনাজপুর জেলা কমিটির সভাপতি শ্রী বিশ্বজিৎ সরকার এই প্রসঙ্গে আমাদের সংবাদ দাতা কে জানান," আমরা আমাদের দাবী ডি আই সাহেব কে জানালাম, উনি কথা দিয়েছেন বিষয়টি নিয়ে উনি ওনার উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবেন।" এই প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন বিজিটিএর গনতান্ত্রিক আন্দোলন থামবে না যতক্ষন সরকার আমাদের দাবী মেনে টিজিটি স্কেল ও ক্যাস বেনিফিট ঘোষণা না করবেন। আমরা শিক্ষা মন্ত্রীর আশ্বাস পেয়েছি, তাকে স্বাগত জানিয়ে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের আশায় আছি। আর তা না হলে? ইয়ে তো ট্রেলার থা, পিকচার আভি বাকী হ্যায়!" শিক্ষা মন্ত্রীর আশ্বাস সত্ত্বেও কেন এই নিয়মিত আন্দোলন -- এই সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে বিজিটিএ'র সাধারণ সম্পাদক শ্রী সৌরেন ভট্টাচার্য বলেন, "পশ্চিম বঙ্গের টিচার রা তাদের বঞ্চনা দূরীকরণে বিজিটিএ কে সাদরে গ্রহন করে মনের মনিকোঠায় স্থান দিয়েছেন। এই আন্দোলন তারই বহিঃপ্রকাশ! দু তিন দশক ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক শিক্ষক সংগঠন টিচারদের বিভিন্ন দাবীদাওয়া সম্পর্কে উদাসীন ছিল।
তাই এখন টিচার রা বিজিটিএ কে আশ্রয় করে সেই সমস্ত দাবীদাওয়ার সপক্ষে আন্দোলন চালাচ্ছেন। আমরা শিক্ষা মন্ত্রীর আশ্বাস পেয়েছি তাকে স্বাগত ও জানিয়েছি। কিন্তু টিচারদের স্বতঃপ্রণোদিত আন্দোলন চলবে। এই আন্দোলন বন্ধ করা এখন সরকারের হাতে যত তাড়াতাড়ি তারা আমাদের দাবী মেনে নেবেন তত তাড়াতাড়ি এই আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটবে। আর না মানলে পশ্চিম বঙ্গে শিক্ষক আন্দোলনের আগুন জ্বলবে!"
0 মন্তব্যসমূহ
thanks