আগামী ২৪ ঘণ্টায় বাড়তে পাড়ে শীত, বৃষ্টির মধ্যদিয়েই হতে পারে নতুন বছরের শুরু, জানালো আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর
কনকনে ঠান্ডায় কাঁপছে গোটা রাজ্যের মানুষ । সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম। গত ২৪ ঘণ্টায় শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৩.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শনিবার এই মরসম চলাকালীন সবচেয়ে শীতলতম দিন। রবিবার তাপমাত্রা সামান্য উঠলেও আগামী ২৪ ঘণ্টায় বাড়তে পাড়ে শীত, বৃষ্টির মধ্যদিয়েই হতে পারে নতুন বছরের শুরু, জানালো আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। ফলে বর্ষশেষের দিনে ভালই ঠান্ডা মালুম হবে রাজ্যবাসীর। দার্জিলিং-এ এ দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি। আসানসোলে তাপমাত্রার পারদ নেমে দাঁড়িয়েছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। কোচবিহারে এ দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া দফতর আরও জানিয়েছে, মঙ্গলবার থেকে বাংলায় ঢুকতে বাধা পাবে উত্তর ভারত থেকে ধেয়ে আসা ঠান্ডা হওয়া। একটি পশ্চিমি ঝঞ্ঝা (ভূমধ্যসাগরীয় এলাকা থেকে বয়ে আসা ঠান্ডা ভারী জোলো হাওয়া) ফের রাজ্যের দিকে বয়ে আসছে। তার সঙ্গে সাগরের জোলো হাওয়ার মিশ্রণে ২-৩ জানুয়ারি বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলাগুলোতে।
দিন কয়েক আগেই হালকা বৃষ্টি হয়েছিল কলকাতা-শিলিগুড়ি সহ রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায়। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ও বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হওয়া উচ্চচাপ বলয় সৃষ্টি হওয়ার কারণে তেমন জাঁকিয়ে ঠান্ডাটা পড়ছিল না। কিন্তু মেঘ সরতেই শৈত্যপ্রবাহের কবলে গাঙ্গেয় বঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। উত্তর ভারত থেকে কনকনে ঠান্ডা বাতাস বাধাহীন ভাবে রাজ্যে ঢুকতে শুরু করে। ফলে এক ধাক্কায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা অনেকটাই নেমে যায়। পুরুলিয়া, বীরভূম, বাঁকুড়ায় শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়। দার্জিলিং, কালিম্পঙে বরফ পড়ে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊