pic:livemint

২৬৮ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। বেসরকারিকরণ না হলে যেকোনও মুহূর্তে বন্ধ হয়ে যেতে পারে এয়ার ইন্ডিয়া। একরকম অনিশ্চিত ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলেছে উড়ান সংস্থাটি। এয়ার ইন্ডিয়ার ভবিষ্যত কী হবে, তা নিয়ে আশঙ্কায় ভুগছেন কর্মরত কর্মীরা। একে তো বকেয়া রয়েছে কয়েক'শো কোটি টাকা। তার উপর সরকারি সংস্থার কর্মীদের কাছে রয়েছে ১০ লাখ টাকার উপর ধার।

কাদের কত টাকা ধার রয়েছে, সেই সংক্রান্ত একটি তালিকা তৈরি করেছে এয়ার ইন্ডিয়া। গত মাসে এয়ার ইন্ডিয়ার ফিনান্স ডিপার্টমেন্ট সেই তালিকাটি তৈরি করেছিল। সেই তালিকায় রয়েছে সিবিআই, আইবি, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, কাস্টমস কমিশনারস, সেন্ট্রাল লেবার ইনস্টিটিউট, ইন্ডিয়ান অডিট বোর্ড-সহ আরও একাধিক সরকারি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা। এয়ার ইন্ডিয়ার তরফ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে। সরকারি যেকোনও সংস্থা এবং সংস্থার কর্মীদের কাছে ট্রাভেলের জন্য এয়ার ইন্ডিয়াই প্রথম পছন্দের। কারণ এই বিমানসংস্থাটি একটি সরকারি সংস্থা। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান যায়না এমন কোনও জায়গায় যদি কখনও সরকারি কর্মীদের যেতে হয়, সেই সময়ই একমাত্র অন্য বিমানসংস্থার টিকিট কাটা হয়।

এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে জানানো হয়, 'যাদের ১০ লাখ টাকার উপর ধার রয়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার কাছে। তাঁদের আগামী দিনে আর কোনও টিকিট দেওয়া হবে না এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে। একমাত্র তাঁরা পুরোনো ধার শোধ করলেই আবার তাঁরা বিমানে উঠতে পারবেন।' তিনি আরও জানিয়েছেন, গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ৫০ কোটি টাকা যোগাড় করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু এভাবে তালিকা তৈরি করে সবার থেকে কত টাকা ফেরানো যাবে। তা নিয়ে দ্বন্দ্বে রয়েছে সংস্থা।

বিমানসংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এয়ার ইন্ডিয়ার ওয়েস্টার্ন রিজিয়নে সংস্থার বকেয়া সবথেকে বেশি টাকা। তালিকার শীর্ষে রয়েছেন মুম্বইয়ের ডিফেন্স অ্য়াকাউন্টস অফ কন্ট্রোলার, তার প্রায় ৫.৪ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়ার গোটা ওয়েস্টার্ন রিজিয়ন জুড়ে বকেয়া রয়েছে ২২.৮ কোটি টাকা। এদের মধ্যে সিবিআই, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-সহ আরও অনেকে রয়েছেন।

সংবাদ একলব্য সংবাদটি সম্পাদনা করেনি, সরাসরি নিউজ ফিড থেকে সংগৃহীত।