পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফকে দেশদ্রোহিতার মামলায় মৃত্যুদণ্ড শোনাল বিশেষ আদালত। পেশোয়ার হাইকোর্টে  প্রধান বিচারপতি ওয়াকার আহমেদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি বেঞ্চ গঠন করা হয়। সেখানেই ১৭ ডিসেম্বর এই মামলার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই মুহূর্তে অসুস্থতার কারণে দুবাইয়ের এক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি। তাই এই বিষয়ে তাঁর কোনও মতামত এখনও পাওয়া যায়নি।

দুর্নীতি ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ রয়েছে প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফের বিরুদ্ধে।  ২০০৭ সাল থেকে তাঁর বিরুদ্ধে পাকিস্তানের মুসলিম লিগ নওয়াজ সরকার দেশদ্রোহিতার মামলা করে।

আজ সংবাদ সংস্থা ANI জানিয়েছে আদলতের নির্দেশ- যদি মৃত্যুদন্ডের আগে প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফের অসুস্থতাজনিত কারনে মৃত্যু হয় তবে তাঁর মৃতদেহ ইসলামাবাদের ডি-চৌকে তিন দিনের জন্য ঝুলিয়ে রাখতে হবে।

মঙ্গলবার ঘোষিত সংক্ষিপ্ত রায়ে পেশোয়ার হাইকোর্টের (পিএইচসি) প্রধান বিচারপতি ওয়াকার আহমদ শেঠের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ এবং সিন্ধু হাইকোর্টের (এসএইচসি) বিচারপতি নাজার আকবর এবং লাহোর হাইকোর্টের বিচারপতি শহীদ করিমকে সমন্বয়ে গঠিত ( এলএইচসি) - সংবিধানের ৬ নং অনুচ্ছেদের অধীনে মোশাররফকে দোষী সাব্যস্ত করেছে।  সংবিধানের ৬ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে: “যে কোনও ব্যক্তি সংবিধান বাতিল বা বাতিল বা স্থগিত বা বাতিল করার বা সংবিধান বাতিল করার বা ষড়যন্ত্র করে বল প্রয়োগ বা সেনা বাহিনীর ব্যবহার বা অন্য কোনও সংবিধানবিরোধী উপায় অবলম্বন করলে  সর্বোচ্চ দেশদ্রোহের জন্য দোষী হবে। "