হাড়কাপানো শীতে মানুষের ভীড় জমেছে আগুনের চারপাশে

মধুসূদন রায়,ময়নাগুড়ি, ২২শে ডিসেম্বর : জেলা থেকে শুরু করে রাজ্যের প্রায় সর্বত্র স্থানেই গত ১ সপ্তাহ ধরে হঠাৎ করেই তীব্র কুয়াশা পড়তে শুরু করে। কুয়াশা ঘিরে থাকা প্রকৃতি জানান দিচ্ছে শীতকাল চলে এসেছে। রাতের বেলায় ঘরের টিনের চালে কুয়াশার ফোটা পড়ার শব্দ কানে বাজছে। সকালে উঠে দেখতে পাওয়া যায় শিতে ভেজা ঘাস, লতা-পাতা। দিনের বেলায় মাত্র ১০ মিটার দূরত্বের গাড়ির বাতিও কুয়াশায় ঝাপসা দেখাচ্ছে। এদিকে, সন্ধার পর ছিন্নমূল মানুষগুলোকে পথের ধারে গাছের ডাল ধানের খড়, কুটোর আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবড়ন করতে দেখা যাচ্ছে প্রত্যক গ্রামে ও শহরে।

গত এক সপ্তাহ ধরে রাত ৯ টার দিকে ময়নাগুড়ি ব্লকের সাপ্টিবাড়ী ২ নম্বর অঞ্চলের কাশীরডাঙ্গা গ্রামের কাশীরডাঙ্গা বাজারে ২ জন ও পাশের  গ্রামের জল্পেশে বাজারে ৩ জন ব্যক্তিকে আগুন পোহাতে দেখা গেছে। 

জানা গেছে, কাশীরডাঙ্গা বাজারের ওই দুই জন ব্যক্তি পেশায় দোকানি। কাশীরডাঙ্গা বাজারেই তাদের দোকান। তাদের একজন প্রায় পূর্ণ বয়স্ক নাম স্বপন দেবনাথ অনুমান বয়স প্রায় ৬০এর কাছাকাছি। আর অপর জনের নাম বিশ্বজীৎ রায় বয়স ২০। ও পাশের জল্পেশ বাজারে ৩ জন ব্যক্তি ছিলেন পেশায় ১ জন দোকানি আর বাকি দুজন কৃষক। তারা বুড়াবুড়ি থানার পাশের গ্রামে চাষাবাদ করে এবং সেখান থেকে তারা সাইকেল নিয়ে জল্পেশ বাজারে খরচা করতে আসে। 

খরচা করতে দেরি হওয়াতে তাদের কাপন ধরে। এবং বাজারের একটি চায়ের দোকানে চা খেতে খেতে গল্পের আড্ডায় মজে পরে তারা। চায়ের দোকানের জ্বালানি কাঠে তারা আগুন পোহায়। ওই আগুনেই শীতার্ত একজন দোকানদার ও দুই কৃষক নিজেদের শরীর গরম করে। এ'সময় তাদের আগুন পোহাতে দেখে বাইকে করে যাওয়া একটি ছেলে বয়স ১৮ এর মধ্যে আগুন দেখে হাত পা গরম করতে চলে আসে ওই স্থানে।

গতকাল রবিবার দিনের বেলায়ও দেখতে পাওয়া যায় ঠাণ্ডার কাপন। অনেক ছেলেই আবার আগুনের ধারে বসে ফ্রি ফায়য়ার গেম এ ব্যস্ত।

সূত্রে জানা গেছে, তাপমাত্রা দিনের বেলাই ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। সকাল থেকে সূর্যের মুখ কোনরকম দেখা গেলেও ঠাণ্ডা বাতাসের দাপটে কাবু হয়ে পড়েছেন সাধারন মানুষ। ঠাণ্ডায় ড়োসড়ো হয়ে পড়ছেন পথের ধারে থাকা ছিন্নমূল মানুষগুলো। প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্রের অভাবে সমান ও ছিন্নমূল মানুষরা শীতে কাতর হয়ে পড়েছেন। তাই শীত নিবড়নের জন্য কম দামে শীতবস্ত্র কিনতে অনেকেই যাচ্ছেন ময়নাগুড়ি শহরের  ফুটপাতের দোকান গুলোতে।