'প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিঞ্চাই যোজনা'র মূল উদ্দেশ্যগুলি হল কৃষি সেচ ব্যবস্থায় লগ্নির অভিমুখীকরণ; নিশ্চিত সেচ ব্যবস্থার আওতায় আরও চাষ জমিকে নিয়ে আসা; জলের অপচয় হ্রাস করতে কৃষিকাজে জলের সর্বোত্তম ব্যবহার বাড়ানো; যথাযথ সেচ পদ্ধতি গ্রহণ ও তার সম্প্রসারণ; জল সাশ্রয়কারী বিভিন্ন প্রযুক্তির প্রয়োগ এবং জলের উৎসগুলিকে পুনরায় জলপূর্ণ করা প্রভৃতি।


এই যোজনা রূপায়ণের নকশা এমনভাবে রচনা করা হয়েছে যাতে রাজ্যস্তরীয় পরিকল্পনা ও সম্পাদন কাঠামো আরও বিকেন্দ্রীকৃত হয় এবং জেলাভিত্তিক সেচ পরিকল্পনার পাশাপাশি রাজ্যস্তরীয় সেচ পরিকল্পনাও রচনা করা সম্ভবপর হয়।২০১৫-১৬ থেকে ২০১৯-২০ পর্যন্ত পাঁচ বছর ধরে এই কর্মসূচি রূপায়ণের জন্য ৫০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। চলতি অর্থবর্ষে প্রকল্পে বরাদ্দের পরিমাণ ৫,৩০০ কোটি টাকা।

প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের নিয়ে গঠিত একটি আন্তঃমন্ত্রক স্টিয়ারিং কমিটি জাতীয় স্তরে এই কর্মসূচিটির নজরদারি ও তত্ত্বাবধানের কাজ করবে। নিতি আয়োগের উপাধ্যক্ষের সভাপতিত্বে জাতীয় স্তরের যে কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হবে তারা কর্মসূচি রূপায়ণ, সম্পদের বন্টন, আন্তঃমন্ত্রক সমন্বয়, কাজকর্মে নজরদারি ও মূল্যায়ন, প্রশাসনিক জটিলতা দূরীকরণ প্রভৃতি বিষয় দেখভাল করবে। সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে গঠিত রাজ্যস্তরীয় অনুমোদন কমিটি কর্মসূচি রূপায়ণের প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকবে। এই কমিটির প্রকল্প অনুমোদনের ও কাজকর্মের অগ্রগতির ওপর নজরদারি করার ক্ষমতা রয়েছে। সেচ কর্মসূচির অন্তিম পর্যায়েও সুষ্ঠু সমন্বয় সুনিশ্চিত করার জন্য জেলাস্তরীয় রূপায়ণ কমিটি গড়ে তোলারও প্রস্তাব রয়েছে। আশা করা হচ্ছে, সেচ সংক্রান্ত চালু প্রকল্পগুলির সমন্বয়সাধনেও প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিঞ্চাই যোজনা সাহায্য করবে।

সুত্রঃ পি আই বি কলকাতা