জিডিপি বৃদ্ধির  হার নামল ৪.৫ শতাংশে। শুক্রবার প্রকাশিত হল দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের (Q2 of 2019-20) জিডিপি বৃদ্ধির হার। প্রথম ত্রৈমাসিকেই ৬ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ৫ শতাংশ আর্থিক বৃদ্ধির হার দেখেছিল দেশবাসী। তখন থেকেই আতঙ্ক জাঁকিয়ে বসছিল, পরের ত্রৈমাসিকে আরও পতন হবে জিডিপি বৃদ্ধির হারে। সেই আশঙ্কা সত্যি হল। এই নিয়ে গত দেড় বছর ধরে টানা নিম্নমুখী জিডিপি। যা ৬ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। অর্থনীতিবিদদের সিংহভাগই মনে করছেন, জিডিপির ক্রমাগত এই পতনে নরেন্দ্র মোদি সরকারের ৫ লাখ কোটি মার্কিন ডলার অর্থনীতির স্বপ্ন ক্রমেই দূরে সরছে।

২০১২-১৩ অর্থবর্ষের শেষ ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার তলানিতে নেমে দাঁড়িয়েছিল ৪.৩। তার পর থেকে ৫ শতাংশের নীচে কখনও নামেনি জিডিপি বৃদ্ধির হার। সে দিক থেকেও এই পতন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। গত বছরের একই সময়ে জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৭ শতাংশ। এ বছর জুনে শেষ হওয়া প্রথম ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার ৫ শতাংশ নেমে যাওয়ার পর থেকেই আতঙ্ক শুরু হয়েছিল অর্থনীতি মহলে। বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দগতি, দেশের বাজারে নতুন শিল্প-বিনিয়োগের অভাব, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির খারাপ পারফরম্যান্স, বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত, কর্মসংস্থানে ছাঁটাই ও পড়তি— সব কিছুর মিলিত প্রভাবেই অর্থনীতি তথা বৃদ্ধির হারে এমন দুর্দশা বলেই মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। মূলত উৎপাদন ক্ষেত্র এবং কৃষি উৎপাদন তীব্র হ্রাসের কারণেই বৃদ্ধির হারের পতন বলে জানিয়েছে পরিসংখ্যান ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন মন্ত্রক। 

দেশের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কেভি সুব্রমনিয়ান  বলেন, "আমরা আবার বলছি যে ভারতের অর্থনীতির মৌলিক বিষয়গুলি শক্তিশালী অব্যাহত রয়েছে। তৃতীয় প্রান্তিকে জিডিপি বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।"

সংবাদ একলব্য সংবাদটি সম্পাদনা করেনি, সরাসরি নিউজ সিন্ডিকেট থেকে সংগৃহীত।