আজ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী এক পার্শ্বশিক্ষিকার মৃত্যু ঘিরে তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য। পার্শ্বশিক্ষিকার অকাল মৃত্যু আন্দোলনে দিয়েছে ঘৃতাহুতি। অন্যদিকে একাধিক অনশনকারি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেও কোনমতেই দুর্বল হয়ে পড়ছে না এই আন্দোলন। জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে অর্থ সংগ্রহ। শুধু অর্থ সংগ্রহই নয়- তৃণমূল আশ্রিত পার্শ্ব শিক্ষক সংগঠনের শিক্ষকরাও সংগঠন ছেড়ে পার্শ্বশিক্ষক ঐক্যমঞ্চের আন্দোলনে শরিক হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।

আন্দোলনের শুরুর দিনথেকেই একাধিক রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের যেমন আন্দোলনে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে তেমনি রাজ্যের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীদেরও আন্দোলনে সমর্থন করতে দেখা গেছে।

আন্দোলনের প্রথম অবস্থায় শুধুমাত্র বিক্ষোভ অবস্থান কর্মসূচি থাকলেও পরবর্তিতে  আমরণ অনশনে বসার সিদ্ধান্ত গ্রহন করে ঐক্যমঞ্চ।

দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রতিটি জেলা থেকে নতুন উদ্যোমে ন্যায্য অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার জন্যও গত সোমবার থেকে আন্দোলনে অংশগ্রহন করতে কলকাতার পথে যাত্রা শুরু করেছেন পার্শ্বশিক্ষকরা।

পার্শ্বশিক্ষক শ্রী সঞ্জয় গুহ আজ সংবাদ একলব্য কে জানিয়েছেন- " যত সময় গড়াচ্ছে আন্দোলন তত শক্তিশালী হচ্ছে।  আমাদের মূল দাবী  ভাতা ব্যবস্থার অবসান ঘটিয়ে পার্শ্বশিক্ষকদের বেতন কাঠামো যতদিন চালু করা না হবে ততদিন এই আন্দোলন চলবে। এই শতকের এক ঐতিহাসিক আন্দোলনের সাক্ষ্মী থাকবেন এই রাজ্যের মানুষ।"

কোচবিহার জেলার এক পার্শ্বশিক্ষক শ্রী ভবেশ চন্দ্র সরকার বলেন- " পার্শ্বশিক্ষকদের ন্যায্য দাবী আদায়ের জন্য আমাদের যে অবস্থান বিক্ষোভ ও অনশন চলছে তাতে  কোচবিহার জেলা থেকে আগামীকাল অন্তত ১০০ জনের একটি দল রওনা দেবে। ইতিমধ্যে গত সোমবার থেকে পুনরায় পর্যায়ক্রমে এই জেলার সমস্ত পার্শ্ব শিক্ষকরাই কলকাতার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন।"