একদিকে যতদিন না পার্শ্বশিক্ষকদের দাবী পূরণ হয় ততদিন পর্যন্ত স্কুল বয়কট অন্যদিকে আমরণ অনশনের চলছে পার্শ্বশিক্ষক ঐক্যমঞ্চের। পার্শ্বশিক্ষক ঐক্যমঞ্চের পক্ষথেকে জানানো হয়-
"রাজ্য সরকারের অমানবিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে পার্শ্বশিক্ষক ঐক্যমঞ্চ আন্দোলনের গতি পরিবর্তিত করে আমরণ অনশনের ডাক দিতে বাধ্য হলো। আমাদের মূল দাবী--- ভাতা ব্যবস্থার অবসান ঘটিয়ে পার্শ্বশিক্ষকদের বেতন কাঠামো চালু করা।"
এইদিন ঐক্যমঞ্চের পক্ষথেকে একটি চিঠি দেওয়া হয় মুখ্যমন্ত্রীকে। সেখানে জানানো হয়-
"আমরা পশ্চিমবঙ্গের ৪৮হাজার পার্শ্ব শিক্ষক-শিক্ষিকা আপনার প্রতি সম্পূর্ণ আস্থাজ্ঞাপন করে, বিগত ১১ই নভেম্বর ২০১৯ হতে বিকাশ ভবনের নিকটে যে ধর্ণা-অবস্থান শুরু হয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা পার্শ্ব শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দুরবস্থা নিরসনে আপনার নিকট ১৩/১১/২০১৯ পত্র প্রেরণ করেছিলাম যাতে ১৪/১১/২০১৯ তারিখে আলােচনার মাধ্যমে পার্শ্ব শিক্ষক-শিক্ষিকাদের যাবতীয় সমস্যার সমাধান হয়। কিন্তু পরিতাপের বিষয় পার্শ্ব শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দুরবস্থা নিরসনে আপনার দিক থেকে কোনরূপ সদর্থক ভূমিকা আমাদের দৃষ্টিগােচর হয়নি বা কোনরূপ বার্তা পায়নি। এমতাবস্থায় সমস্ত পার্শ্ব শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সম্মতিক্রমে আমরা  (১৫/১১/২০১৯) বিকাল ৫টা হতে আমরণ অনশনে বসে। 
 এই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী মেদিনীপুরের এক পার্শ্বশিক্ষিকা শ্রীমতি রেবতি রাউত   তিনি ১১ নভেম্বর  থেকে ১৮  নভেম্বর এই অবস্থানে অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে তিনি বাড়িতে গিয়ে  মারা যান বলে সূত্রের খবর।
পশ্চিম মেদিনীপুরের এই শিক্ষিকা মোহনপুর ব্লকের দক্ষিণ বোড়াই প্রাইমারি স্কুলে চাকুরিরত ছিলেন।পার্শ্বশিক্ষকরা অনশন আন্দোলন শুরু করলে তিনিও অনশনে সামিল হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন।সুস্থ হয়ে আবার আন্দোলনে ফিরে আসার জন্য বাড়িতে ফিরে যান রেবতী দেবী।সেখানেই তার মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে।তাঁর মৃত্যুতে গভীয শোক নেমে এসেছে আন্দোলনরত পার্শ্বশিক্ষকদের মধ্যে।

আর একজন পিটি ধর্না মঞ্চ এ  অবস্থান করাকালীন স্ট্রোক করেছেন। এখন হাওড়ার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে বলে সংগঠন সূত্রে  খবর।