দিল্লি ও আশেপাশের অঞ্চলে  জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। টুইট করে তিনি জানান, দিল্লির স্কুলগুলি মঙ্গলবার ৫ নভেম্বর অবধি বন্ধ থাকবে।সুপ্রিম কোর্টের বাধ্যতামূলক দূষণ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা কর্তৃকও এই ঘোষণা করা হয়।দিওয়ালির পর বাতাসে হিউম্যানিটি বেশি হয়েছে বলে জানিয়েছেন  'দূষণ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা'
পাঁচ নভেম্বর পর্যন্ত সমস্ত আউটডোর কার্যক্রম এবং শিশুদের খেলাধুলা বন্ধ করতে বলা হয়েছে রাজধানীর স্কুলগুলিতে।
গত জানুয়ারি  পর এই প্রথমবারের মতো বৃহস্পতিবার গভীর রাতে  দূষণের পরিমান  জরুরি  অবস্থায় চলে যাওয়ায় পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ ৫ নভেম্বর পর্যন্ত উক্ত জরুরি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শুধু তাই নয়,কর্তৃপক্ষ শীতের মরসুমে পটকাও ফাটানোও  নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল আজ স্কুলে মাক্স বিতরণের সময় দিল্লি শহরকে  'গ্যাস চেম্বার'এর সঙ্গে তুলনা করেছেন। একইসাথে তিনি প্রতিবেশি রাজ্য হরিয়ানা ও পাঞ্জাবের উপর দোষ আরোপ করেছেন।কারণ হিসাবে তিনি জানিয়েছেন,প্রতিবেশি উক্ত রাজ্যগুলিতে  বছরের এই সময়টিতে হাজার হাজার কৃষক বিস্তৃত ধোঁয়া মেঘে প্রেরণ করে ফসলের খড় পোড়ানোর মাধ্যমে।জনস্বার্থে প্রচার করা হয়,যতক্ষণ পর্যন্ত দূষণের মাত্রা হ্রাস না হয়  শিশু ও  বয়স্কদের বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত।
কেজরিওয়াল জানান,উচ্চ স্তরের দূষণ  ঝুঁকিপূর্ণ।এতে ফুসফুসের ক্ষতি হতে পারে।
কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী প্রকাশ জাভাদেকার মিঃ কেজরিওয়ালকে দিল্লির   দূষণের মাত্রার জন্য অভিযুক্ত করে বলেছিলেন, পাঞ্জাব এবং হরিয়ানাকে দোষ দেওয়া সমস্যার সমাধান নয়।

   কেজরিওয়াল  প্রধানমন্ত্রী মোদী'র পাঁচটি রাজ্যে (দিল্লির নিকটস্থ) শিল্প দ্বারা উৎপাদিত  দূষণকারীদের দোষারোপ করেন ও  দমন করার প্রস্তাব সম্পর্কে কথা বলেন।