রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া সরলীকরণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সংবাদমাধ্যমে তিনি জানান, ইতিমধ্যেই এসএসসি ও প্রাইমারি বোর্ডকে এ ব্যাপারে জানানো হয়েছে। অর্থাৎ নতুন যে টেট পরীক্ষা হবে প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক সেখানে নতুন নিয়মে হবে পরীক্ষা। তাই দ্রুত এই নিয়ে নোটিশ প্রকাশ করতে চলেছে শিক্ষা দপ্তর।

নতুন বিধিতে শিক্ষা দপ্তর সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছে লিখিত পরীক্ষার উপর বা টেট এর উপর। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‌এবার তিন ধাপকে এক ধাপে নামিয়ে নিয়ে আসা হবে। যথা–কাউন্সেলিং, ভেরিফিকেশন, জয়েনিংয়ের মতো তিনটি ধাপের পর শিক্ষক নিয়োগ হয়। নয়া পদ্ধতিতে একমুখী নীতি অনুযায়ী চাকরি দেওয়া হবে। ফলে এই ধাপের প্রক্রিয়ায় যেতে হবে না প্রার্থীকে। ফলে সময় কম লাগবে।’‌
কি কি থাকছে আর কি কি থাকছেনা তার একটি সম্ভাব্য রূপরেখা একনজরে দেখা নেওয়া যাক-

১। টেট থাকছে ।
২। ইন্টারভিউ থাকছে না।
৩। কাউন্সেলিং থাকছে না।
৪। ভেরিফিকেশন থাকছে না ( চাকরীতে জয়েনিং এর সময় হবে)।
৫। B.ED এবং D.EL.ED এর নম্বর থাকছে না।
৬। ওয়েটিং লিস্ট থাকবে না, যতজন পাস করবে তত জনকে চাকরি দেওয়া হবে।
৭। অ্যাকাডেমিক কোয়ালিফিকেশন খাতে কোন আলাদা নাম্বার থাকবে না।

তবে ইতিমধ্যে এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড়। অনেকে বলছেন যদি ইন্টারভিউ না থাকে তবে কীভাবে বোঝা যাবে শিক্ষক হিসাবে তিনি কতটা উপযুক্ত? শুধু লিখিত পরীক্ষায় ভালো হলেই চাকরী দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তা শিক্ষাক্ষেত্রে বিপর্যয় নামিয়ে আনবে বলেও অনেকে মতো প্রকাশ করছেন।