২০১৫ সালের ৩১শে জুলাই আর পয়লা অগাস্টের মাঝ রাতে ভারত আর বাংলাদেশের মধ্যে ১৬২টি ছিটমহল বিনিময় সম্পন্ন হয়েছিল। ৫১টি বাংলাদেশী ছিটমহল মিশে গিয়েছিল ভারতের সঙ্গে আর ১১১টি ভারতীয় গ্রাম হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের অঙ্গ।

পূর্বতন ভারতীয় ছিটমহলগুলো থেকে প্রায় সাড়ে নয়শো মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভারতের মূল ভূখন্ডে চলে আসার।

২০১৫ কোনমতন কাটলেও ২০১৬'র পর থেকে এলাকার উন্নয়ন থেকে জমির কাগজ বিভিন্ন ইস্যুতে আন্দোলনে নামতে দেখা যায় তাদের। 

২০১৮ সালে জমির প্রমাণপত্র না থাকায়  বন্যায় সরকারি ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত হয় সাবেক ছিট মহলের কৃষকরা৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোচবিহারে কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়েছিল সেই সময়৷ এই ঘটনার জন্য প্রশাসনের ব্যর্থতাকেই দায়ী করেছেন তাঁরা৷

২০১৯ এ এসেও মুস্তাফি ছিটের কোন পরিবর্তন নেই- হয়তো যা পরিবর্তন তা খাতায় কলমে। এমনই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। 
সাবেক ছিটের বাসিন্দারা বলেন, ছিটমহলের ভিতরের অধিকাংশ রাস্তাই বেহাল হয়ে রয়েছে।  শিবপ্রসাদ মুস্তাফিতে চলাচল যোগ্য কোনও রাস্তা নেই।  বাসিন্দারা বাধ্য হয়ে ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়েই চলাচল করছেন। বাসিন্দারা অনেকদিন ধরেই ভাঙা রাস্তা সংস্কার করার দাবি করে আসছেন।

কৃষিকাজের জন্য বেশ কিছু সংখ্যক সোলার পাম্পের ব্যবস্থা করা হলেও-বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। ঠিক করবার মতন কারিগর নেই। 

এই ছিটেই রয়েছে ঐতিহাসিক প্রাচীন শিব মন্দির। অথচ তার রক্ষণাবেক্ষণেরও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।