ছবি প্রতীকী 

শিক্ষার্থীদের মধ্যে নৈতিকতা ও মানবিক গুণাবলি গড়ে তুলতে পরিবারকে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে। কারণ পরিবারেই এসবের বীজ প্রোথিত হয়। এছাড়া সামাজিক পরিবেশ দেখে শিশুরা অনেক কিছু শেখে। এজন্য সমাজকে গুরুদায়িত্ব পালন করতে হবে। শিক্ষকরা ছাত্র-ছাত্রীদের প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলেন। সামাজিক কৃষ্টি-কালচার, রীতি-নীতিও শিক্ষার্থীদের মূল্যবোধ সৃষ্টিতে প্রভাব ফেলে। তাই প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষার সকল স্তরে নিয়মিত দেশের কৃষ্টি-কালচারবিষয়ক অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করতে হবে। এতে শিক্ষার্থীদের মাঝে সামাজিক দায়িত্ববোধ ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ সম্পর্কে একটি শক্ত ভিত গড়ে উঠবে। ফলে তারা বিপথগামী হওয়া থেকে বিরত থাকবে। সেইসঙ্গে তাদের মননশীলতার বিকাশ ঘটবে। এছাড়া মূল্যবোধ সৃষ্টিতে নীতি শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।

পড়ুয়াদের মধ্যে মূল্যবোধ তৈরি করতে এ বার স্কুল স্তরে নীতিশিক্ষা পড়ানো হবে। বইয়ের নাম ‘জগৎবাড়ি।’ সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার বলেন, ‘‘বইয়ের কাজ চলছে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই ‘জগৎবাড়ি’ নামে মূল্যবোধের উপরে এই বই প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির পাঠক্রমে থাকবে। পড়ুয়াদের রুটিনেও থাকবে মূল্যবোধের উপরে ক্লাস।’’


অভীকবাবু জানিয়েছেন, নানা রকম ছবি দিয়ে এই বইয়ে থাকবে মূল্যবোধের উপরে পাঠ। যেমন রাস্তায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে দেখলে তাঁদের রাস্তা পার হতে সাহায্য করা, গাড়িতে বয়স্কদের জায়গা ছেড়ে দেওয়া, এলাকায় গাছ লাগানো, প্লাস্টিক ব্যবহার না করা ইত্যাদি। তিনি আরও জানান, নীতিশিক্ষার উপর আলাদা কোনও পরীক্ষা হবে না। তবে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত এই মূল্যবোধের ক্লাস চলবে সারা বছর ধরেই। এই বই বাড়িতেও নিয়ে যেতে পারবে পড়ুয়ারা।