মহাশক্তির সুনির্দিষ্ট এক অনিন্দিতা রূপময়ী আকৃতির নাম ‘কুমারী’। কুমারীশক্তি সৃষ্টির মূল বেদী। কুমারী পুজো মহাশক্তির সবটুকু সৃষ্টিক্ষমতা আর মাধুর্য মহিমা অনুভব করার আর এক নাম। দেবীর ‘কুমারী’ নামটি বহু প্রাচীন। ‘তৈত্তিরীয় আরণ্যক’-এ প্রথম দেবীকে ‘কুমারী ব্রহ্মচারিণী’ বলে সম্বোধন করা হয়েছে। ‘মহাভারত’-এর বিরাট পর্বে ও ভীষ্ম পর্বে দেবীকে ‘কুমারী’ বলেই উল্লেখ করা হয়েছে। ‘ঋগ্বেদ’-এর দেবীসূক্তে কুমারী ঋষি কন্যার মাধ্যমেই জগৎ সৃষ্টির কথা সোচ্চারে ঘোষণা করা হয়েছে। সেই কুমারীশক্তি বিশ্বপ্রসবিণী। সেই কুমারী মাতাই আদি পিতা সৃষ্টিকর্তাকে প্রসব করেন। কিন্তু তাঁর জন্ম দেন কে? স্থানই বা কোথায়? সে যে জলধির অগাধে! সেখানেই এই শক্তির যোনির উৎস— একথা বলেছেন তিনি নিজেই। এই কারণেই কুমারী পুজোর এত মহিমা।

চৌধুরিহাট শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমে প্রতিবারের মতন এবারেও কুমারী পূজা হবে আগামীকাল, অষ্টমীর পূণ্যলগ্নে। এবারের কুমারী মা হলেন প্রীতিকণা চক্রবর্তী, পিতা শ্রী পার্থ চক্রবর্তী, মাতা শ্রীমতি প্রিয়াঙ্কা চক্রবর্তী। প্রীতিকণার বয়স ৯ বৎসর। সে এখন তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। দিনহাটার বাসিন্দা হলেও বর্তমানে শিলিগুড়ি, বাগডোগরায় থাকেন ।

আসুন শুনেনেই চৌধুরিহাট শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমের মহারাজ কি বলছেন-