file pic source: the hindu
২০১৪ সালে ২ অক্টোবর বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণ ঘটেছিল৷ দু’তলা বাড়ির নীচের তলায় এই বিস্ফোরণকে ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে৷ প্রাথমিকভাবে এটি দুর্ঘটনা মনে হলেও পরে তদন্তে উঠে এসেছে, পশ্চিমবঙ্গে ঘাঁটি করে প্রতিবেশী বাংলাদেশ সরকারকে উৎখাত ও সেদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের বিষয়টি ৷ পুরো ঘটনায় জড়িয়ে যায় জামাত উল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)-র নাম ৷

খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডের পর বেশ কয়েকজন জেএমবি জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ কিন্তু ৫ বছর ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল খাগড়াগড় বিস্ফোরণের চক্রী জেএমবি জঙ্গি আজহার ৷ অবশেষে অসমের বরপেটা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে অসম পুলিশ ৷

ধৃত ২৫ বছরের আজহার জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ বা জেএমবি-র অন্যতম সক্রিয় সদস্য ছিল ৷ সে শুধু পশ্চিমবঙ্গের খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের জড়িত তা নয়, অসমেও একাধিক নাশকতার ঘটনায় সে জড়িত বলে গোয়েন্দাদের দাবি। ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো ও এনআইএ-থেকে পাওয়া গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালায় অসম পুলিশ ৷ অসমের বরপেটা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় ৷ ওই এলাকায় সে আত্মগোপন করেছিল।

ইতিমধ্যেই খাগড়াগড় বিস্ফোরণ-কাণ্ডের সাজা ঘোষণা করেছে ব্যাংকশাল আদালত ৷ ১৯ জনকে দোষী সাব্য়স্ত করে নগর দায়রা আদালত ৷ ৫ বছর পরে এই মামলার সাজা ঘোষণা করা হয় ৷ রায়ে জানা গিয়েছে, আমিনা বিবি ও রাজিয়া বিবির ৬ বছরের জেল এবং কুড়ি হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে ৷ বাকি ১৭ জন অভিযুক্তের কারো ক্ষেত্রে ছয় বছর, কারো ক্ষেত্রে ৪ বছরের জেলের সাজা ঘোষণা করা হয়েছে ৷ সকলের ক্ষেত্রেই কুড়ি হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করেছেন নগর দায়রা আদালতের বিচারক ও এনআইএর বিশেষ আদালতের মুখ্য বিচারক সিদ্ধার্থ কাঞ্জিলাল।