আরও একটি খাদ্য দিবস আঙুল তুলে চলে গেলো
শুভাশিস দাশ
অর্থনীতিতে নোবেল । খুব আনন্দের কথা । এর আগেও এসেছে । অর্থনীতি বুঝবার মতো মানুষেরা এসবের ব্যাখ্যা খুব ভালো দিতে পারবেন ! আমার মতো সাধারণ একজন কলমচি এসবের বর্ণনা দিতে গেলে লোক হাসবে । তবে অর্থনীতির মূল বিষয় কিন্তু সবাই কম বেশি বোঝেন ।
আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশের অর্থনীতি নিয়ে লিখতে দিস্তার পর দিস্তা কাগজ লেগে গেছে অর্থনীতিবিদ দের কিন্তু আজো এই দেশের অর্থনীতির সুষ্ট রূপদান হয় নি বলেই অভিজ্ঞ অর্থনীতিবিদরা মনে করেন ।
মানুষের মৌলিক চাহিদা গুলো পূরণে আজো ফাঁক রয়ে গেছে । এখনও এই দেশে একটি শ্রেণীর হাতে অঢেল পয়সা ।
ভারতবর্ষের বহু মানুষ আজো অনাহারে দিন কাটান । নেই বাসস্থান ! চিকিত্সার সুযোগ তথৈব্চ !
অথচ সরকারি পরিকল্পনা গুলি কিন্তু তৈরি হয়েই চলেছে । সমস্যা টা অন্য জায়গায় ।
বৃহত্তর এই গণতান্ত্রিক দেশে ভোটের রাজনীতি সব টা গিলে ফেলেছে যে একথা অস্বীকার করার উপায় কই ?
সাধারণ মানুষ অতো কিছু বোঝে না । এই সুযোগ নিয়ে চলে রাজনীতির নোংরা খেলা ।
বিভিন্ন যোজনায় গ্রামের বা শহরের নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য যা যা বরাদ্দ হয় তা কি সঠিক ভাবে প্রয়োগ হয় আর যদি বা প্রয়োগ হলো তো সেখানে একটা অসৎ উদ্দেশ্য চলে আসে ।
ফলে আমাদের দেশের অর্থনীতির বড় অন্তরায় হলো কিছু নোংরা পলিটিক্স । মানুষের জন্য পরিকল্পনা হয় এটা একশ ভাগ সত্যি কিন্তু তার বাস্তব প্রয়োগ কতটা হয় এবং হলেও তা সঠিক স্থানে পৌঁছায় কিনা তা বলার অপেক্ষা রাখেনা । দেখতে দেখতে আরও একটি খাদ্য দিবস আমাদের সামনে আঙুল উঁচিয়ে চলে গেলো ! নিরন্ন সেই মানুষ গুলো এদিন পেট পুরে খেয়েছে কিনা বলতে পারব না তবে আমরা খাদ্য দিবসে সেমিনার করে তার ব্রেক এ বিরিয়ানির প্লেট সাজাতে ব্যস্ত ছিলাম !
যতদিন আমাদের দেশের মানুষ না জাগবে ততদিন অর্থনীতির মূল বিষয় গুলো যে উপেক্ষিতই রয়ে যাবে !
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊