শঙ্কর পাণ্ডে, বাসন্তী, ১০ অক্টোবর ২০১৯: বাসন্তী ব্লকের সব প্রাচীন পূজোর মধ্যে অন্যতম হলো চুনাখালি সার্বজনীন দুর্গাউৎসব। শুরুটা হয়ে ছিলো আজ থেকে ৭৩ বছর পূর্বে ১৯৪৭ সালে, প্রায় বলতে গেলে স্বাধীনতার পরপর। শুরুটা হয়েছিল খুব সাধারণ ভাবে, চুনাখালি এলাকার মুষ্টিমেয় কয়েকজন উদ্যোগ নিয়ে এই পূজার আয়োজন করে ছিলো। সেই দুর্দিনের সাক্ষী ছিলেন মহেন্দ্র বিশাল, গোলাম নবী ঘরামি, গোলাম মোল্লা, তারা সেই সময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মেল বন্ধন ঘটিয়ে ছিলো। আজও বর্তমান প্রজন্ম অক্ষুণ্ণ রেখেছে সেই মেল বন্ধন। পূজার প্রথম দিকে প্রতিমা তৈরি করানো হত স্থানীয় মৃৎ শিল্পীদের দ্বারা কিন্তু পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রতিমা আনা হয় কুমোরটুলি থেকে, এ বছরও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।
যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে তাই পূজার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কর্ম সূচি নেয় এই পূজা কমিটি, যেমন নারী ও শিশু পাচার সম্পর্কে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা, বাল্য বিবাহ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা  ইত্যাদি। পূজা কমিটির সভাপতি অরুণ মণ্ডল বলেন- "আমরা শুধু যে দুর্গ পূজা করি তা নয়, এই পূজার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করি আমরা, যেমন এ বছর আমরা জল সংরক্ষণের উপর বিশেষ জোর দিয়েছি এবং এই বিষয়ের উপরে একটা স্টলও  খোলা হয়েছে পূজা মণ্ডপের কাছে, যাতে দর্শনার্থীারা ঠাকুর দ্যাখার সাথে সাথে  এটাও জানতে পারে যে জল সংরক্ষণ ও বিশেষ ভাবে প্রয়োজন"। সম্পাদক নিমাই মালী বলেন- "সমাজের একদম পিছিয়ে পড়া মানুষদের আমরা নতুন বস্ত্র বিতরণের ব্যবস্থা করেছি ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের বিশেষ কিড্ প্রদান করবো যাতে তারা উৎসাহিত হয়"। কোষাধ্যক্ষ বাপ্পাদিত্য হাউলি ও মালা সাহা বলেন- "আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মেল বন্ধন ঘটিয়েছি, আমারা জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলে একত্রিত হয়ে এই পূজোটাকে এগিয়ে নিয়ে চলেছি। মহাষষ্ঠীর দিন চুনাখালি সার্বজনীন দুর্গাউৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রর সাংসদ মাননীয়া প্রতিমা  মণ্ডল এবং গোসাবার বিধায়ক মাননীয় জয়ন্ত নস্কর। উপস্থিত ছিলেন  আরো বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।