একদিকে বেতন অনিয়মিত হওয়ার ফলে কর্মীদের মধ্যে বাড়ছে অসন্তোষ। আগস্ট মাসের বেতন না পেয়ে ৮০০০০ কর্মী আন্দোলনে নেমেছেন ইতিমধ্যে।
৫০ শতাংশ কর্মীকে অবসর দেয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কর্তপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, 'অন্তত ৭০০০০ কর্মীকে স্বেচ্ছাবসর নেওয়ার প্রস্তাব আনা হচ্ছে। এই মুহূর্তে ১ লক্ষ ৬৫ হাজার কর্মী রয়েছে। ৭০০০০ স্বেচ্ছাবসর নিলেও অন্তত ১ লক্ষ কর্মী থাকবেন।' বি এস এন এল-কে বাঁচাতে প্রয়োজন অর্থের । বি এস এন এলের আয়ের ৭৫ শতাংশ যায় কর্মীদের বেতনে। ফলে কর্মীসংকোচন হলে অর্থ সঞ্চয় করতে পারবে তারা, যা সংস্থা বাঁচাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে কতৃপক্ষ মনে করেন।
এমন পরিস্থিতিতে BSNL ও MTNL- দুই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়ার প্রস্তাব দিল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক বলে সূত্রের খবর। আর্থিক অনটনের জেরে বহু বছর ধরেই ধুঁকছিল এই দুই সংস্থা। সম্প্রতি টেলিকমিউনিকেশন দপ্তরের (DoT) তরফ থেকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রককে জানানো হয়েছে, BSNL ও MTNL কে পুনর্জীবিত করতে ৭৪,০০০ কোটি টাকার প্রয়োজন। DoT-র এই প্রস্তাবের পরই এই দুই সংস্থাকে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্থমন্ত্রক।
টেলিকম দপ্তরের সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বন্ধ করতে ৯৫,০০০ কোটি টাকার বেশি খরচ হবে না সরকারের। BSNL-এ কর্মরত ১.৬৫ লক্ষ কর্মীদের আকর্ষণীয় স্বেচ্ছাবসর প্রকল্প(VRS) ও ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রায় ৯৫,০০০ কোটি টাকার কাছাকাছি খরচ হবে।
তবে সমস্ত কর্মীদের এই VRS প্রকল্পের আওতায় আনা হবে না। ইন্ডিয়ান টেলিকমিউনিকেশন সার্ভিস (ITS)-এর যে সমস্ত কর্মীরা এই সংস্থায় কর্মরত রয়েছেন, সংস্থা বন্ধ হয়ে গেলে তাঁদের অন্য সরকারি দপ্তরে চাকরির সুযোগ দেওয়া হবে। MTNL কর্মীদের জন্যও এই প্রস্তাব দেওয়া হবে।
এখন দেখার bsnl-mtnl সম্পুর্ণভাবে বন্ধ হবে না তা পুনরুজ্জীবিত করবার চেষ্টা করা হবে। সরকারের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে ১.৬৫ লক্ষ কর্মীর ভবিষ্যৎ।
সংবাদ একলব্য সংবাদটি সম্পাদনা করেনি, সরাসরি নিউজ সেন্ডিকেট থেকে সংগৃহীত।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊