দীপ রায়ঃ
বৃহত্তর গ্র‍্যাজুয়েট টিচারস এসোসিয়েশান এর শিক্ষক আন্দোলন সারা রাজ্যে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। আজ বিকালে নদীয়া জেলার রানাঘাট মিউনিসিপালিটি কম্পাউন্ডে এ ডি আই অফিসের সামনে জড়ো হন প্রায় পাঁচ শতাধিক গ্র‍্যাজুয়েট টিচার। বিজিটিএ রাজ্য সম্পাদক শ্রী সৌরেন ভট্টাচার্য  স্বয়ং এই বিক্ষোভ সমাবেশের নেতৃত্ব দেন। বক্তাদের প্রত্যেকেই ঘোষিত পে কমিশনকে ' পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র' আখ্যা দেন, এবং হাই কোর্টের রায়ের পরে ও সরকার গা-জোয়ারী করে পে কমিশনে গ্র‍্যাজুয়েট টিচারদের পরিকল্পিত ভাবে আরো একবার বঞ্চিত করল বলে দাবী করেন। বিক্ষোভ সমাবেশের শেষে তারা সম্মিলিত ভাবে রানাঘাট এ ডি আই কে ডেপুটেশন দেন।এ প্রসঙ্গে বিজিটিএ'র সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক শ্রী সৌরেন ভট্টাচার্য বলেন, "সরকার গ্র‍্যাজুয়েট টিচারদের ইচ্ছাকৃত ভাবে বঞ্চিত করছে। ট্রেন্ড গ্র‍্যাজুয়েট টিচারদের জন্য নির্ধারিত স্কেল ৯০০০ - ৪০৫০০ ;গ্রেড পে ৪৬০০ ধরে পে মার্টিক্স তৈরী করে নি পে কমিশন, যদি ও এই দাবী মেনে নেওয়ার পক্ষে হাই কোর্টের একাধিক রায় ছিল। এই সরকার ক্ষমতায় আসার আগে এই বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কিন্তু এখন আবেদন নিবেদন, কোর্টের রায় কোন কিছুকেই তোয়াক্কা করছে না। এভাবে চলতে পারে না।  বিজিটিএ এই পে কমিশন মানে না, যেখানে পিজিটি ও টিজিটি টিচাদের ইনিশিয়াল বেসিকপে তে পার্থক্য বাড়িয়ে প্রায় ১০০০০ টাকা করা হয়েছে, যা সর্বভারতীয় স্তরে মাত্র ২৭০০ টাকা। এখনি সরকার হস্তক্ষেপ না করলে আমরা পশ্চিম বঙ্গের প্রতিটি কোনায় কোনায় লাগাতার তীব্র আন্দোলনে নামব"
অন্যদিকে শিলিগুড়ি  জেলার বিজিটিএ শাখার তরফে শিলিগুড়ি  ডি আই ডেপুটেশন কে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ মিছিল ও  সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সেখানে ও প্রায় তিন শ গ্র‍্যাজুয়েট টিচার অংশ নেন। বিজিটিএ শিলিগুড়ি  জেলা কমিটির সম্পাদক শিখিল বিশ্বাস বাবুর কথায়, " আজ অন্যান্য জেলার মত আমরা এই অবৈজ্ঞানিক পে কমিশনের বিরুদ্ধে টিজিটির দাবীতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে ডি আই কে ডেপুটেশন দিচ্ছি। কিন্তু এই সরকার হাই কোর্টের রায় কে ফুৎকারে উড়িয়ে দেওয়ায় আমরা হতাশ! আমি সরকারের উদ্দেশ্যে একটি বার্তা দিতে চাই যে তারা অবিলম্বে গ্র‍্যাজুয়েট টিচারদের টিজিটি স্কেলের দাবী মেনে নিন ও এই আপার প্রাইমারি স্টেটাসের নামে টিচার বিভাজন অবিলম্বে বন্ধ করুন। প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি তে হস্তক্ষেপ করুন।না হলে ফল ভালো হবেনা।"