সংবাদ একলব্যঃ  
আজ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দুশোতম জন্মবার্ষিকী পালন করে এক অন্যরকম মুহূর্তের সাক্ষী হয়ে থাকল পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ। বিদ্যাসাগরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলা বিভাগের পক্ষ থেকে যে আন্তর্জাতিক দ্বি-দিবসীয় আলোচনাচক্রের আয়োজন করা হয়েছিল,আজ ছিল তার প্রথম দিন।অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য ড.দেবকুমার মুখোপাধ্যায়। আলোচনাচক্রে বিশেষ অতিথির আসনে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক বরুণকুমার চক্রবর্তী (কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়), অধ্যাপক সত্যবতী গিরি(যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়),অধ্যাপক সনৎকুমার নস্কর (কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়), ড.রাহেল রাজীব (জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়,ঢাকা,বাংলাদেশ)। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত অধ্যাপক ও গবেষকগণ।  শুরুতেই প্রদীপ জ্বালিয়ে এবং গাছের চারায় জল ঢেলে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করা হয়।এছাড়াও পাঁচজন বংশের প্রথম মেয়ে সন্তান, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা নিচ্ছে এবং তাদের মায়েদের সম্মাননা জ্ঞাপন করা হয়। মায়েদের  
প্রদান করা হয় মানপত্র, চারাগাছ, বর্ণপরিচয় এবং স্মারক।এই প্রসঙ্গে অধ্যাপক বরুণকুমার চক্রবর্তী বলেন,'আমি ভগবতীকে দেখিনি,আজ পঞ্চ ভগবতীকে একসঙ্গে দেখার সৌভাগ্য হল'। তিনি আরও বলেন;আজ পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ যেভাবে অনুষ্ঠানের সূচনা করেছে,তিনি আর কোথাও দেখেননি। আসলে,'পঞ্চভগবতী'কে সম্মাননা জ্ঞাপন এবং চারাগাছে জল ঢেলে অনুষ্ঠানের সূচনা প্রসঙ্গেই তিনি এমনটি বলেন।পঞ্চানন বার্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের মাননীয় বিভাগীয় প্রধান ড.সেলিম বক্স মন্ডল বলেন,ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়ের দুশোতম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে পাঁচজন মায়েদের সম্মানিত করতে পেরে তিনি অন্তরের অন্তস্তল থেকে সেই মায়েদের কাছে কৃতজ্ঞ। 


এছাড়াও আন্তর্জাতিক দ্বি-দিবসীয় আলোচনাচক্রের- 'ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরঃদুশো বছরের পুনর্বীক্ষন' যে আয়োজন করেছেন সেই আলোচনাচক্রের প্রথম দিনের সার্থকতার জন্য তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক দেবকুমার মুখোপাধ্যায় সহ সহকর্মীদের,আগত বিশেষ অতিথিদের,বিভিন্ন কলেজ থেকে আগত অধ্যাপকদের, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের এবং ছাত্র-ছাত্রী'দের ।