সংবাদ একলব্যঃ 
আবারও উত্তাল দেওয়ানহাট মহাবিদ্যালয়। এবার কোন রাজনৈতিক সংঘর্ষ নয়। গত ১২ সেপ্টেম্বর দেওয়ানহাট মহাবিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের 'মেঘদূত' দেওয়াল পত্রিকাটি কলেজ চলাকালীন সময়েই কে বা কারা ভেঙ্গে দেয়। এই নিয়ে উত্তাল কলেজ। গতকাল একটি ধিক্কার মিছিল করেন বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরা । অধ্যক্ষকে অভিযোগ পত্রও দেওয়া হয় বিভাগের পক্ষ থেকে। 

এই নিয়ে বাংলা বিভাগের অধ্যাপিকা দীপ্তি রায় ঘটনার পরের দিন তাঁর ফেসবুক পেজে জানান- "চারিদিকে যখন এত ভাঙনের শব্দ ! মাঝে দেওয়ানহাট কলেজের বাংলা বিভাগের দেওয়াল পত্রিকা 'মেঘদূত ' এর কাঁচ ভাঙনের শব্দ তো একটি অতি নগন্য ঘটনা! আসলে অনেকের কাছে এটি অতি নগন্য ঘটনা হলেও এই দেওয়াল পত্রিকা আমার একটি স্বপ্ন!" তিনি আরও বলেন- "কোন রাজনৈতিক দল এটা করেনি। কলেজে এখন ক্ষমতা দখলের লড়াই চলছে। ওরা এ কাজ করবে না। আর যে কোন অনুষ্ঠানেই ওদেরকে আমি পাশে পেয়েছি। ডি এস সির ছাত্ররাও এটা করবে না। ওরা বেশি আসেও না, এতটা সময় ধরে কলেজে থাকেও না।বাকি রইলো অনার্সের ছাত্ররা, তারাই একমাত্র বিকেল পর্যন্ত থাকে। কাল আমি কলেজে ছিলাম না। সম্ভবত ছাত্রছাত্রীরাও একটু তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে যায়।এই সুযোগে নোংরা , জঘন্যতম এই কাজটা তোদের মধ্যে কেউ করেছিস। এই কাজটা করতে তোদের একবারও হাত কাঁপলো না! মনের মধ্যে কে এই বিষ ঢোকালো তোদের?" 
অর্থাৎ কলেজের বাইরের কেউ এই কাজে যুক্ত নন বলে তিনি জানান, কলেজেরই 'অনার্সের ছাত্র'রাই যে এই কাজ করেছেন তা তিনি স্পষ্ট করে বলেন। কিন্তু প্রশ্ন কোন বিভাগের? 

বাংলা বিভাগের ছাত্র মিঠুন মিয়াঁ জানায়- "দেওয়ানহাট মহাবিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ঐতিহ্য "মেঘদূত"পত্রিকা । যেখানে অসংখ্য ছেলে মেয়েদের আবেগ জড়িয়ে আছে।সেই পত্রিকাটি ভেঙে দিয়েছে কিছু ছাত্র নামক দুষ্কৃতী। আমরা (বাংলা বিভাগ ) তাদের বিরুদ্ধে আজ ধিক্কার মিছিল দিলাম সঙ্গে কালো ব্যাচ পড়ে,কেননা আমরা শোকাহত এবং কলেজের অধ্যক্ষের কাছে আমাদের অভিযোগ পত্র তুলে দিলাম। অধ্যক্ষ মহাশয় আমাদের আশ্বাস দিলেন খুব তাড়াতাড়ি আমাদের দাবি গুলো পূরণ করবেন। যথা সময়ে যদি আমাদের দাবি গুলো পূরণ না হয় তাহলে আমরা বৃহৎ আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।"