সংবাদ একলব্যঃ  ডিজিটাল রেশন কার্ড তৈরি ও রেশন কার্ডে ভুল সংশোধনের জন্য সময়সীমা বাড়ল। ৫ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত নতুন করে সময়সীমার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। একইসঙ্গে তিন ক্যাটেগরির জন্য তিন রঙের রেশন কার্ড তৈরির ঘোষণাও করেন তিনি। বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরায় প্রশাসনিক বৈঠক থেকে নতুন ডিজিটাল রেশন কার্ড তৈরি ও রেশন কার্ডে ভুল সংশোধনের জন্য বর্ধিত সময়সীমার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
ডেবরার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী খাদ্য দফতরের আমলাদের নির্দেশ দেন, তিন রঙের রেশন কার্ড প্রস্তুত করতে হবে। প্রথম ক্যাটাগরি- যাঁরা দুটাকা কিলো দরে চাল পান। দ্বিতীয় ক্যাটেগরি- যাঁরা অর্ধেক দামে চাল পান। এবং তৃতীয়- যাঁরা রেশন কার্ডকে পরিচয় পত্র হিসেবে ব্যবহার করেন। কিন্তু রেশন নেন না। তাঁদের জন্য হবে আলাদা রঙের কার্ড।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কিছু রেশন ডিলার সব খেয়ে নিচ্ছে। এটাকে আটকাতেই আলাদা রঙ করতে হবে। যাতে হিসেব থাকে’। খাদ্য দফতরের সচিব মনোজ অগরওয়ালকে ধমকের সুরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা ঠিক করে কাজ করছেন না। সব ফেলে রেখে দিচ্ছেন। আর মানুষ হয়রান হচ্ছে’।
প্রসঙ্গত, গতকালই খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছিলেন যে ডিজিটাল রেশন কার্ড তৈরি ও রেশন কার্ডে ভুল সংশোধনের সময়সীমা বাড়ানো হচ্ছে। তবে কতদিন সময়সীমা বাড়ানো হবে? বা কতদিন পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে? তা তিনি নির্দিষ্ট করে কিছু জানাননি। বর্ধিত সময়সীমা মুখ্যমন্ত্রী নিজে জানাবেন বলে তিনি জানিয়েছিলেন। এরপরই বুধবার ডেবরা থেকে নতুন দিনক্ষণের ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য সরকারের খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের উদ্যোগে খাদ্যসাথী প্রকল্পে ডিজিটাল রেশন কার্ড তৈরি ও রেশন কার্ড সংশোধনের কর্মসূচি নেওয়া হয়। ৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এই কর্মসূচি। প্রথম দফায় আগামীকাল ২৭ সেপ্টেম্বর-ই শেষ হচ্ছে এই কর্মসূচি।
কিন্তু রেশন কার্ড সংশোধন ও ডিজিটাল কার্ড তৈরির জন্য জেলায় জেলায় মানুষের ভিড় উপছে পড়াতেই সরকার ফের নতুন করে সময়সীমা ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয়। ২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার মহালয়া। তারপরের সপ্তাহ থেকেই পুজো শুরু। পুজোর পর ৫ নভেম্বর থেকে ফের শুরু হবে এই কর্মসূচি। ছুটির দিন বাদে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলছে এই সংশোধনের কাজ। সমস্ত কাজ চলছে বিডিও অফিস, মিউনিসিপ্যালিটি অফিস, বোরো অফিসে।