আন্দোলনকারীদের দাবি, রাজ্যে ক্ষমতায় আসার আগে তৃণমূল নেত্রী তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, ক্ষমতায় এলে ধাপে ধাপে পার্শ্বশিক্ষকদের স্থায়ী করা করবে তৃণমূল সরকার। কিন্তু সাতবছর পেরোলেও সেই প্রতিশ্রুতি পুরণ হয়নি আজও। পাশাপাশি তাঁরা দীর্ঘদিন ধরেই স্থায়ী শিক্ষকদের মতো ক্লাস নিলেও বেতন কাঠামোয় বিস্তর ফারাক। ফলে বেতন বৈষম্য নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন পার্শ্ব শিক্ষক ঐক্য মঞ্চ। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, দুই দিনাজপুর, মালদা, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ, হাওড়া সহ বিভিন্ন জেলা থেকে পার্শ্ব শিক্ষকরা বিকাশভবন অভিযানে সামিল হয়েছেন।
৫ জন পার্শ্বশিক্ষকের একটি টিম বিকালে সেক্রেটারির সাথে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে কোন সমাধান সূত্র বের হয়নি বলে জানান আহ্বায়ক শ্রী ভগিরথ ঘোষ। অন্যদিকে প্রবল বৃষ্টিতে যখন নাজেহাল পার্শ্ব শিক্ষকরা তখন কলকাতার পুলিশ তাদের প্রতি সহানুভুতি দেখিয়ে জানান, প্রেস ক্লাবের সামনে তাদের বসবার ব্যবস্থা করে দেবেন এবং পরবর্তিতে সন্ধ্যায় তাদের বিধাননগর (সেক্টর-১) এর সামনে থেকে সরিয়ে প্রেস ক্লাবের সামনে নিয়ে যান। কিন্তু রাত বাড়লেই সেখান থেকে পুলিশ লাঠিচার্জ করে সরিয়ে দেন বলে অভিযোগ।
অসহায় শিক্ষকরা পুলিশের দ্বিচারিতা বুঝতে না পেরে অসহায় অবস্থায় কলকাতায় ছন্নছাড়া হয়ে পড়েন। পার্শ্বশিক্ষকদের একটা বড় অংশ শিয়ালদা স্টেশনে আশ্রয় নেন। কিন্তু এখানেই শেষ নয়, সোশ্যাল মিডিয়া দ্বারা পুনঃরায় যোগাযোগ করা হয় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পার্শ্বশিক্ষকদের সাথে। আজ কল্যাণী বাসস্ট্যান্ডে একত্রিত হয়ে শিক্ষক নেতা ভগীরথ ঘোষ আমরণ অনশনে বসবার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। জাহাঙ্গীর আলম, মাসুদ হাসান সহ পার্শ্ব শিক্ষক নেতা ভগীরথ ঘোষ আজ আমরণ অনশন শুরু করেন।
0 মন্তব্যসমূহ
thanks