যাদবপুর, ৫ আগস্টঃ  গত  ৫ই জুলাই সুন্দরবন এলাকার একটি ট্রলার দুর্ঘটনার কবলে পড়ে যা ভাইরাল ভিডিও হিসেবে পরিগণিত হয়। এবার এই স্বজনহারাদের পাশে দাঁড়ালো যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় সেবা প্রকল্প, প্রাক্তনী সংসদের সদস্য-সদস্যা ও সুন্দরবনের মথুরাপুরের কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাই স্কুল ।স্বজনহারাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ঔষধ বিতরনের পাশাপাশি  প্রত্যেক পরিবারের  হাতে তুলে দেওয়া হয় চাল, ডাল, তেল, নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী, মশারি, কম্বল, শাড়ি, শিক্ষা সামগ্রী এবং মেহগনি গাছ।
সমুদ্রের বুকে ৫ দিন জলে ভেসে থাকা মাঝি শ্রী রবীন্দ্রনাথ দাসকে সংবর্ধিত করা হয়।বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড  শ্রী রবীন্দ্রনাথ দাস কে  উদ্ধার করেন । আয়োজকদের তরফ থেকে উপহার হিসেবে দেওয়া হয় স্মারক, উত্তরীয়, ব্লেজার, মেহগনি গাছ এবং  নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী। অনুষ্ঠানে  উৎসাহ দিতে  উপস্থিত ছিলেন  সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী  শ্রী মন্টু রাম পাখিরা । তিনি বলেন  "যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাই স্কুল  বা  যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সংসদের মতো  অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় বা কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যদি এগিয়ে আসে তাহলে খুব ভালো হয়" এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মৎস্যজীবী সংগঠনের নেতা  শ্রী সতীনাথ পাত্র, শ্রী বিজন মাইতি, কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক  মাননীয় শ্রী চন্দন মাইতি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শ্রী ললিত ললিতাভ মহাকুড, অধ্যাপক শ্রী অরুণ মাহাতো,জাতীয় সেবা প্রকল্পের আধিকারিকগণ  এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় প্রাক্তনী সংসদের Earn While You Learn প্রজেক্টের অনেক আধিকারিকগণ।এদিন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মাননীয় মন্ত্রী শ্রী মন্টু রাম পাখিরা বলেন "আগামী দিনের ভবিষ্যৎ অসহায় মৎস্যজীবী পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর এই প্রয়াসকে সাধুবাদ জানাই" এদিন সাহায্য নিতে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন মৎস্যজীবী পরিবারের স্বজনরা। তারা অনেকে জানালেন,"আজকের প্রাপ্ত গাছের নামকরণ হবে হারানো স্বামী বা সন্তানের নামে"।