মিল্টন মিয়াঁ, দিনহাটা,১৩ আগস্টঃ  দেশের সাথে সাথে দিনহাটা মহকুমাতেও বেকারত্ব দিন দিন বেড়ে চলেছে। চারিদিকে বেকার যুবকদের হাহাকার। এর মধ্যেই এল চলাচলের দূষণমুক্ত যান টোটো। হাজার-হাজার বেকার যুবক, এমনকি যুবতীরাও টোটো চালিয়ে জীবিকা নির্বাহের পথ বেছে নিয়েছেন। অনেক আন্দোলন, সংগ্রামের মধ্য দিয়ে চলতে চলতে রাজ্য সরকার বেকারত্ব মুক্তির কথা ভেবে টোটোকে রেজিস্ট্রেশন দেবার ব্যবস্থা করেছেন। সরকারী স্বীকৃতি দিয়েছেন। দিয়েছেন টোটো চলাচলের সরকারি অনুমতিও।  এই আইনি স্বীকৃতি সহজ সরলভাবে সব দরিদ্র টোটো শ্রমিকগণ যাতে পান, সেদিকে লক্ষ্য রেখে মহকুমা শাসকের সতর্ক দৃষ্টি রাখার আবেদন জানান দিনহাটা মহকুমা টোটো (ই-রি) শ্রমিক ইউনিয়ন। আজ দিনহাটার টোটো পরিষেবা সমস্ত বন্ধ করে দিয়ে দিনহাটা সংহতি ময়দানে বিক্ষোভ সমাবেশে হাজির হয় দিনহাটা মহকুমার প্রায় ৫০০ অধিক টোটো চালক। 
৩১শে অগাস্ট টোটো বন্ধ হয়ে যাবে। রাস্তায় নামবে না টোটো। পুরোনো টোটো বাতিল করে রাস্তায় ই-রিক্সা নামলে ক্ষতির সম্মুখীন হবে প্রায় কয়েক হাজার টোটো চালক। এ নিয়ে টোটো চালকরা  বিক্ষোভ দেখান। এছাড়াও, একটা দাবিপত্র জমা করেন তারা।
আহ্বায়ক বিশ্বজিৎ সাহা এবং সেলিম হােসেন জানান তাদের দাবী-
১) পূর্বে অনেক টোটো শ্রমিত্র বাস্তব বিভিন্ন অসুবিধার কারণে টিন নম্বর নিতে পারেন নাই। সেই টোটোগুলিকে নতুন করে টিন নম্বর দিতে হবে।না হালে অনেক দরিদ্র টোটো চালক বিপদের সম্মুখীন হবেন।
২) সরকারীভাবে কিছু বিশেষ কোম্পানী টোটো বিক্রির অনুমােদন পেয়েছে। অনেকেই আগে থেকে এই কোম্পানীর টোটো ব্যবহার। করছেন। আমাদের দাবী উক্ত টোটোগুলিতে এই অবস্থাতেই রেজিষ্ট্রেশন দেওয়া হােক। নতুন করে একই কোম্পানীর টোটো কিনে কাউকে যেন রেজিষ্ট্রেশন নিতে না হয়।
৩) সুষ্ঠুভাবে সব টোটোগুলিকে যাতে রেজিষ্ট্রেশন দেওয়া যায়, সেজন্য রেজিষ্ট্রেশনের শেষ সময়সীমা বৃদ্ধি করতে হবে।
৪) ইতিমধ্যেই অনেক টোটোই কেনাবেচার মাধ্যমে হস্তান্তর হয়েছে। সুষ্ঠু নীতি প্রয়ােগ করে যারা পুরনাে টোটো কিনেছেন, তাদেরকেও রেজিষ্ট্রেশন দিতে হবে।
৫) আমলাতান্ত্রিক বা সরকারী জটিলতার কারণে যাতে কোনাে টোটো শ্রমিক সঠিক রেজিষ্ট্রেশন থেকে বঞ্চিত না হয়, সেদিকে সতর্ক । দৃষ্টি দেবার জন্য দাবী রাখছি।
৬) পুরনাে টোটোগুলিকে / টোটো শ্রমিকগণকে বাঁচাতে টোটো নেবার ক্ষেত্রে সরকারী অনুদানের ব্যবস্থা করতে হবে। 
৭) সরকারী অনুমােদনহীন ব্রান্ডের টোটো বিক্রি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। 
৮) টোটো চালকগণকে গতিধারা, গীতাঞ্জলির মতাে প্রকল্পের মাধ্যমে অনুদানের ব্যবস্থা করতে হবে। ৯) টোটোগুলির দাড়ানাের জন্য শহরে ও গ্রামে স্ট্যান্ডের ব্যবস্থা করতে হবে।
১০) ইতিমধ্যেই দিনহাটার অনেক টোটো চুরি হয়েছে, কোনভাবেই সেগুলির হদিশ পাওয়া যায় নাই। টোটোগুলির নিরাপত্তা ও  সুরক্ষার জন্য প্রশাসনিকভাবে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে। 
১১) টোটো কেনার ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে।