সংবাদ একলব্য, ২০ আগস্টঃ বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের সব থেকে বড় সমস্যার মধ্যে একটি হল বেকারত্ব। সমীক্ষা করে দেখা গেছে বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের বেকার সংখ্যা ১ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। পশ্চিমবঙ্গকে বেকারত্ব মুক্ত করতে রাজ্য সরকার অর্থাৎ মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি নেতৃত্বে যুবশ্রী প্রকল্পের শুভারম্ভ হয়। এই প্রকল্পের আওতায় থাকা যুবকরা প্রতি মাসে দেড় হাজার টাকা করে রাজ্য সরকার পক্ষ থেকে পাবেন এবং শুধু তাই নয় কোন চাকরির ক্ষেত্রেও তারা এ প্রকল্পের জন্য অগ্রাধিকার পাবেন বলে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন। 

কিন্তু এমপ্লয়পমেন্ট ব্যাঙ্ক মেম্বার ইউনিয়ন দাবি তুলেছে- "ভাতা নয় ,কাজ চাই"। আজ এই দাবিতে আন্দোলন এ সামিল হলো কোচবিহারের যুবশ্রীরা। কোচবিহারে শহরে মিছিল করে জেলা সমাহর্তাকে ডেপুটেশন প্রদান করেন। সংগঠনের কোচবিহার শাখার সম্পাদক কুদ্দুস আলম জানান- 
"২০১৩ সালে কোলকাতা নেতাজি ইন্ডাের স্টেডিয়ামে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী মহাশয়া এবং তৎকালীন শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু মহাশয় মঞ্চে দাড়িয়ে নিজের মুখে ঘোষণা করেছিলেন যে 'আমাদের দুই বছরের মধ্যেই সরকারী শিক্ষক থেকে শুরু করে গ্রুপ-C এবং গ্রুপ-D ও অন্যান্য পদে যোগ্যতা অনুযায়ী নিয়োগ করা হবে। সেই সঙ্গে মাসিক ১৫০০ টাকা করে উৎসাহ ভাতা চালু করেছিল। কিন্তু ২০১৩ সাল থেকে ২০১৮ সাল অতিক্রম করে ২০১৯ এ পদার্পন করলাম, অথচ সরকার তার প্রতিশ্রুতি পালন করছেন না, এমনকি কোনরকম পদক্ষেপ নিচ্ছেন না , তাই আমরা সরকারকে পুনরায় স্মরণ করিয়ে দেবার জন্য আজ ডেপউটেশন প্রদান করলাম।' 

পশ্চিমবঙ্গ এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্ক কর্ম প্রার্থী সমিতির কোচবিহার শাখার সভাপতি শ্রীপাদ মণ্ডল জানান- 'আজ একাধিক দাবিতে আমরা স্মারকলিপি প্রদান করেছি। আমাদের দাবিগুলি হলো- 
এক) আমাদের খুব শ্রীঘ্রই সরকারী শিক্ষক থেকে শুরু করে গ্রুপ-C এবং গ্রুপ-D ও অন্যান্য স্থায়ী পদে নিয়ােগ করতে হবে । 
দুই) যােগ্যতা অনুসারে নিয়ােগ পত্র দিতে হবে। যােগ্যতা অনুসারে কোনাে লিখিত পরীক্ষা ও ইন্টারভিউ ছাড়া আমাদের এক মাসের মধ্যে নিয়ােগ পত্র দিতে হবে। 
তিন) সিনিয়ারিটি যুবশ্রী ভাতা প্রাপকদের বয়স অনুযায়ী নিয়ােগ করতে হবে । 
চার) ৬ মাস প্রতি Annexure-Ill নামে রেনুয়াল বন্ধ করতে হবে। 
পাঁচ) ৬০ বছর বয়স অবধি প্রত্যেক যুবশ্রী ভাতা প্রাপকদের দায়ভার রাজ্য সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে । 
ছয়) প্রত্যেক সরকারী পরীক্ষায় যুবশ্রী প্রাপকদের আসন সংরক্ষন দিতে হবে। 
সাত) আমাদের উক্ত সংগঠনকে সরকারী স্বিকৃতি দেওয়া হােক।"