দাবি আদায়ে সরব আশা কর্মীরা, কর্মবিরতির মাঝেই বিশাল ধিক্কার মিছিল
নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি: নূন্যতম বেতন কাঠামো ও স্থায়ীকরণের দাবিতে ফের উত্তাল হয়ে উঠল জলপাইগুড়ি। পশ্চিমবঙ্গ আশা কর্মী ইউনিয়ন ও পৌর স্বাস্থ্যকর্মী ইউনিয়নের যৌথ উদ্যোগে লাগাতার কর্মবিরতির মাঝেই আজ শহরে আয়োজিত হলো বিশাল ধিক্কার মিছিল ও বিক্ষোভ কর্মসূচি।
গত ২৩শে ডিসেম্বর থেকে নিজেদের বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন জেলার আশা ও পৌর স্বাস্থ্যকর্মীরা। আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়িয়ে এদিন জলপাইগুড়ি শহরের সমাজপাড়া মোড়ে জড়ো হন শয়ে শয়ে আন্দোলনকারী। সেখানে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ প্রদর্শনের পর একটি ধিক্কার মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি সমাজপাড়া মোড় থেকে শুরু হয়ে জলপাইগুড়ি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পথ পরিক্রমা করে।
বিক্ষোভকারী কর্মীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে নামমাত্র পারিশ্রমিকে তারা গ্রামীণ ও শহর এলাকায় স্বাস্থ্য পরিষেবার মেরুদণ্ড হিসেবে কাজ করে আসছেন, কিন্তু সরকার তাদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করছে। তাদের মূল দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে:
- স্বীকৃতি প্রদান: আশা ও পৌর স্বাস্থ্যকর্মীদের পূর্ণাঙ্গ 'স্বাস্থ্য কর্মী'-র মর্যাদা ও স্বীকৃতি দিতে হবে।
- বেতন কাঠামো: ইনসেন্টিভ বা ভাতার প্রথা বাতিল করে অবিলম্বে মাসিক নূন্যতম ১৫,০০০ টাকা বেতন ধার্য করতে হবে।
- স্থায়ী বেতন: কাজের ভিত্তিতে ইনসেন্টিভ নয়, প্রতি মাসে নির্দিষ্ট বা ফিক্সড বেতন কাঠামো চালু করতে হবে।
- অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা: মোবাইল রিচার্জের জন্য বরাদ্দ অর্থ বৃদ্ধি করতে হবে এবং মাতৃত্বকালীন ছুটির দিন সংখ্যা বাড়াতে হবে।
ইউনিয়ন নেতৃত্বের তরফে জানানো হয়েছে, ২৩ তারিখ থেকে শুরু হওয়া এই কর্মবিরতি ততদিন চলবে, যতদিন না প্রশাসন তাদের এই দাবিগুলো মেনে নিচ্ছে। এদিনের মিছিলে কর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। তাদের স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা শহর।
প্রশাসনের তরফে এখনো কোনো সুনির্দিষ্ট আশ্বাস না মেলায় আন্দোলনকারীরা তাদের অবস্থান চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের এই দীর্ঘ কর্মবিরতির ফলে গ্রামীণ ও পৌর এলাকার স্বাস্থ্য পরিষেবায় প্রভাব পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊