SSC-র একাদশ-দ্বাদশের ফল বেড়োলেও নিয়োগে সংশয়! মামলা ঝুলে হাইকোর্টে
৭ই নভেম্বর স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগের একাদশ-দ্বাদশের ফল প্রকাশ হয়েছে। ফল প্রকাশ হলেও নিয়োগ নিয়ে সংশয় রয়ে গিয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টে ঝুলে রয়েছে একটি মামলা। স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষার ফল প্রকাশের দিনই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশে তৈরি হল অনিশ্চয়তা।
অভিজ্ঞতার নিরিখে অতিরিক্ত নম্বর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে দায়ের হওয়া মামলার ইস্যুতেই তৈরি হয়েছে সংশয়। মামলার ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগ পর্ব শুরু করা যাবে না এমনটাই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির নির্দেশ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রকাশিত হয়েছে ফল। আর তারপর থেকে ফল দেখার হিড়িক কিন্তু রাতে ক্রাশ করে যায় এসএসসির ওয়েবসাইট। সার্ভার ক্র্যাশ করায় পরীক্ষার্থীরা ফল দেখতে গিয়ে বিপাকে পড়েন। এদিন শুধু অবশ্য লিখিত পরীক্ষায় কে কত পেয়েছেন সেটাই জানা গিয়েছে। লিখিত পরীক্ষায় কত নম্বর পেলে উত্তীর্ণ বলে ধরা হবে, তা জানায়নি এসএসসি। সূত্রের খবর, ১৭ নভেম্বর থেকে পরবর্তী ধাপ শুরু হতে পারে নিয়োগ পরীক্ষার।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ৫ বছরের বেশি পড়ানোর অভিজ্ঞতা থাকলে অতিরিক্ত ১০ নম্বর দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তাকে চ্যালেঞ্জ করে একাধিক মামলা দায়ের হয় হাই কোর্টে। প্রশ্ন ওঠে যাদের প্যানেল বাতিল হল, অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে তারা কী করে অতিরিক্ত ১০ নম্বর পাবে? অভিজ্ঞতার নম্বরের জেরেই উদ্বেগে পড়ে নতুন তথা ফ্রেশার প্রার্থীরা। এসএসসি-র দাবি, “এই মামলা কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। পরীক্ষার আগেই প্রার্থীরা নিয়ম সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিল। গত ৩০ মে পরীক্ষা বিষয়ক যে বিজ্ঞপ্তি বেরিয়েছিল তাঁকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করতে পারেন না।” এদিকে আইনজীবী কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে জানান, এখন যেন কোনও অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের নির্দেশ না-দেওয়া হয়। তার কারণ এই মামলা শীর্ষ আদালতে বিচারাধীন এবং আগামী ২৪ নভেম্বর মামলার শুনানি রয়েছে।
সমস্ত পক্ষের বক্তব্য শোনার পর কলকাতা উচ্চ আদালত মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ১২ই নভেম্বর ঘোষনা করেছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি অভিযোগ ওঠে। এরপর চাকরি হারায় প্রায় ২৬০০০ শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী। এরপর আদালতের নির্দেশে ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে নিয়োগ প্রক্রিয়া আরম্ভ করে কমিশন। গত ৭ই সেপ্টেম্বর ও ১৪ই সেপ্টেম্বর যথাক্রমে নবম ও দশম এবং একাদশ ও দ্বাদশে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় সারা রাজ্যে। একাদশ-দ্বাদশে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ২ লক্ষ ২৯ হাজার ৬০৬ জন। গত ১৪ সেপ্টেম্বর ৩৫টি বিষয়ের উপর রাজ্যের ৪৭৮টি কেন্দ্রে পরীক্ষা নেয় এসএসসি। নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ এই দু’টি স্তর মিলিয়ে শূন্যপদ ৩৫ হাজার ৭২৬টি। তার মধ্যে একাদশ ও দ্বাদশের শূন্যপদ ১২ হাজার ৫১৪টি।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊